করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ঘরে থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। 2019 - রূপকল্প ২০৪১

বহুল ব্যবহৃত ১০ টি অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস

Detail


আমার অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং এর যাত্রা যদিও গুগল এ্যাডসেন্স দিয়ে। তবুও বাংলাদেশের প্রচুর ফ্রিল্যান্সার এই সাইটগুলো থেকে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করে বেকারত্ব দূর করছে।
অনলাইনে আয়ের অনেক পদ্ধতি আছে। তাদের মধ্যে একটা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ নিয়ে ক্লাইটকে কাজ করে দেয়া। আমার দেখামতে এমন ১০ টি সেরা সাইটের নাম নিচে দিলাম। 


  1. UpWork
  2. Freelancer
  3. PeoplePerHour
  4. Fiverr
  5. 99designs
  6. iWriter
  7. Freelance Writing Gigs
  8. Toptal
  9. Project4hire
  10. iFreelance

ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং প্রশিক্ষণ কোর্স

Detail


বদলগাছী উপজেলার শিক্ষিত বেকার যুব নারী ও পুরুষদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে, উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়নে জাইকার অর্থায়নে ১৮দিন মেয়াদি ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে


প্রধান অতিথি জনাব মুহাঃ আবু তাহির, উপজেলা নির্বাহী অফিসার। ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে তিনি গঠনমূলক ও দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন।

আরো বক্তব্য রাখেন বদলগাছী উপজেলার সুযোগ্য যুব উন্নয়ন অফিসার জনাব ইবনু সাব্বির আহমেদ।



উপস্থিত ছিল উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত হতে আগত আউটসোর্সিং কে পেশা হিসাবে বেছে নিতে আগ্রহী ২০ জন যুব নারী ও পুরুষ প্রশিক্ষনার্থী ও একজন যোগ্য প্রশিক্ষক। যিনি গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন এবং আউটসোর্সিং মার্কেট প্লেস বিষয়ক প্রশিক্ষন প্রদান করবেন।

কীভাবে একটি পূর্ণ ভাষা হতে পারে গণিত ?

Detail
গণিতকে বলা হয় বিজ্ঞানের ভাষা। আমরা ভাষা বলতে যা বুঝি, গণিত কি তেমনই বাংলা, ইংরেজি কিংবা ম্যান্দারিনের মতো কোনো ভাষা? এ প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে আমাদের দেখতে হবে গণিতের শব্দ ও ব্যাকরণ কীভাবে এক একটি বাক্য রচনা করে।

ভাষা কী?
ভাষার বহুরকম সংজ্ঞায়ন হতে পারে। ভাষা হতে পারে কিছু শব্দ বা সংকেত, যেগুলো কিছু নিয়মের অধীনে থাকে। আবার বলা যেতে পারে, শব্দ কিংবা প্রতীক ব্যবহারের মাধ্যমে যোগাযোগের একটি পদ্ধতি। বিশ্ববিখ্যাত ভাষাবিদ নোয়াম চমস্কি ভাষাকে সংজ্ঞায়ন করেন সসীম সংখ্যক উপাদান দিয়ে গঠিত বাক্যসমগ্র বলে।

যেভাবেই সংজ্ঞায়ন করা হোক, আমরা সার্বিক বিবেচনায় কিছু উপাদানকে ভাষার বৈশিষ্ট্যের সূচক বলে ধরতে পারি।


  • অবশ্যই শব্দ বা প্রতীক সমূহের একটি অভিধান বা তালিকা থাকবে।
  • সেসব শব্দ বা প্রতীকের অবশ্যই অর্থ থাকতে হবে।
  • ভাষায় ব্যাকরণের প্রয়োগ থাকবে। অর্থাৎ কিছু নির্ধারিত নিয়ম থাকবে যা ভাষায় ব্যবহৃত শব্দগুলো ব্যবহারের সীমারেখা বলে দিবে।
  • প্রতীকগুলো দিয়ে বাক্য গঠনের মাধ্যমে ভাব প্রকাশ বা উপস্থাপন করা যাবে। বাক্য গঠনের মাধ্যমে ভাব উপস্থাপন করে তার ধারাবাহিক বর্ণনা সম্ভব হতে হবে।
  • আর অবশ্যই একদল মানুষ থাকতে হবে যারা সে ভাষা বুঝবে এবং ব্যবহার করবে।
ভাষা চর্চিত হবে একদল মানুষের মাঝে, আর ভাষাটি তাদের পারস্পরিক বোধ্যগম্যও হতে হবে

এই শর্তগুলো হাতে নিয়ে গণিতের দিকে তাকালে দেখা যায়, গণিত সবগুলো শর্তই পূরণ করে বসে আছে। বিশ্বব্যাপী গণিতের প্রতীক, তার অর্থ, ব্যবহার আর ব্যাকরণ একই। 
গণিতবিদ, বিজ্ঞানী এবং অন্যান্যরা ধারণার আদান-প্রদানে গণিতকে ব্যবহার করেন। 
গণিত যেমন একদিকে বাস্তব ঘটনাকে বর্ণনা করতে পারে, তেমনই বিমূর্ত ধারণাকেও বর্ণনা করতে পারে। এমনকি গণিতের এমন একটি শাখা আছে, যেখানে নিজেই নিজেকে বর্ণনা করতে পারে। 
ঐ শাখাটি হলো মেটা-ম্যাথমেটিকস।

অভিধান, ব্যাকরণ ও পদবিন্যাস
গণিতের অভিধান সাজানো হয়েছে বিভিন্ন বর্ণমালা থেকে। পাশাপাশি এতে আছে বিভিন্ন চিহ্ন, যেমন যোগ কিংবা বিয়োগ। একটি গাণিতিক সমীকরণকে বলা যায় শব্দের সমাহারে তৈরি বাক্য। 
একটি সরল গাণিতিক সমীকরণ বিবেচনা করি।

3 + 5 = 8
একে পড়া যায়- তিন এর সাথে পাঁচ যোগ করলে আট এর সমান হয়। নিঃসন্দেহে এটি একটি পরিপূর্ণ বাক্য।
গণিতের ভাষায় বিশেষ্য পদ হলো এগুলো
সংখ্যা অংক (0, 2, 5, 9, 17 ইত্যাদি)
ভগ্নাংশ (1⁄4, 5⁄9, 2 1⁄3)
চলক (a, b, c, x, y, z ইত্যাদি)
রাশি (3x, x^2, 4+x ইত্যাদি)
রেখাচিত্র বা দৃশ্যমান উপাদান (বৃত্ত, কোণ, ত্রিভুজ, টেন্সর, ম্যাট্রিক্স ইত্যাদি)
অসীম সংখ্যা (∞)
পাই (π)
কাল্পনিক সংখ্যা (i, -i)
আলোর বেগ (C)
গণিতে ব্যবহৃত প্রতীক দিয়ে তৈরি করা যেতে পারে বাক্য
গণিতের ক্রিয়াপদগুলো
সমান অসমতা চিহ্ন (=, <, >)
গাণিতিক ক্রিয়া, যেমন- যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ, বর্গমূল করা। (+, ­, ×, ÷)
অন্যান্য ক্রিয়া (sin, cos, tan, sec ইত্যাদি)
গণিতের ব্যাকরণ এবং বাক্যগঠন অভিধানের মতোই আন্তর্জাতিক। কেউ যে দেশেরই লোক হোক, যে ভাষাতেই কথা বলুক, গাণিতিক ভাষার গঠন সকল দেশে একই। গাণিতিক সার্বজনীনতা সকলের জন্য সমান।
  • গাণিতিক সূত্র বা বিধিগুলো লেখা হয় বাম থেকে ডান দিকে।
  • পরিমাপ এবং চলকের জন্য ল্যাটিন বর্ণমালা ব্যবহার করা হয়। কিছু গ্রিক বর্ণও ব্যবহার করা হয়। পূর্ণসংখ্যাগুলো বোঝাতে নেয়া হয়েছে i, j, k, l, m, n বাস্তব সংখ্যাকে প্রকাশ করা হয় a, b, c, α, β, γ দিয়ে। জটিল সংখ্যাকে নির্দেশ করতে ব্যবহার করা হয় w এবং z প্রতীক। অজানা চলকের জন্য x, y, z এবং ফাংশনের নামের জন্য f, g, h
  • বিবিধ বিশেষ সংজ্ঞার জন্য গ্রিক বর্ণমালা ব্যবহৃত হয়। যেমন, λ দিয়ে তরঙ্গদৈর্ঘ্য আর ρ দিয়ে বোঝায় ঘনত্ব।
  • বন্ধনী চিহ্নগুলো নির্দেশ করে প্রতীকগুলো কোন ক্রম অনুসরণ করবে।

গণিতের রাশিমালা সবসময় লিখতে হয় বাম দিক থেকে
ভাষা একটি শিক্ষা উপকরণ
কীভাবে গাণিতিক বাক্যগুলো কাজ করে তা জানলে গণিত শেখা শেখানো উভয় পক্ষের জন্যই কার্যকরী ভূমিকা রাখে। সংখ্যা এবং প্রতীক প্রায়ই শিক্ষার্থীদের আতঙ্কগ্রস্ত করে তোলে। তাই কোনো পরিচিত ভাষায় সমীকরণকে বর্ণনা করলে তা সহজে শিক্ষার্থীর কাছে গ্রহণীয় হয়। মূলত, এটা অনেকটা কোনো বিদেশী ভাষাকে নিজের ভাষায় রূপান্তরের মতো।

যেহেতু পৃথিবীব্যাপী গণিত একই, তাই স্বভাবতই গণিত একটি বিশ্বজনীন ভাষা। গণিতের কোনো সংজ্ঞা কিংবা সূত্রের অর্থ বিভিন্ন ভাষায় একই। দুজন মানুষের মধ্যে কথ্য ভাষায় ভিন্নতা থাকতে পারে, কিন্তু গণিত সেই যোগাযোগ বাধা উৎরে গিয়েও কাজ করতে পারে।

গণিত শুধু সংখ্যা আর সমীকরণ নয়
গণিত বলতে শুরুতেই মোটাদাগে সংখ্যা আর সংখ্যাদের দিয়ে কিছু ক্রিয়া (যেমন, যোগ, বিয়োগ, ভাগ, বর্গমূল ইত্যাদি) বোঝায় না। বিমূর্ততা, ভাবমূলক বর্ণনা, বস্তুনিরপেক্ষ সংজ্ঞায়ন গণিতের চিরন্তন বৈশিষ্ট্য। জ্যামিতির কথাই বিবেচনা করি। একটি বস্তু কেমন হতে পারে তা গণিতের আওতাধীন। এমনকি কোনো বস্তু কেমন হওয়া অসম্ভব তা- গণিত শাস্ত্রের আওতাধীন।
সার্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে দেখা যাবে, মানুষের দ্বারা যত ভাষা সৃষ্টি হয়েছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে আদিম কিন্তু এই গণিতই। যুক্তি যাচাইয়ের ভিত্তি হিসেবে সবসময় কাজ করেছে এই গণিত। ধর্ম, সংস্কৃতি, লিঙ্গ, কাল ইত্যাদি কোনোকিছুই ধারণার পরিবর্তন করতে পারেনি।

গণিতকে ভাষা না বলার যুক্তি
গণিতকে ভাষা বলার যুক্তি যেমন আছে, তেমনই একে নিয়ে আছে বিপরীত মত কিংবা ভিন্ন মত। অনেক ভাষাবিদ একে ভাষা হিসেবে স্বীকার করতে নারাজ। কারণভাষা কোনো কোনো সংজ্ঞায় যোগাযোগকে কথ্যরূপ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। গণিত মূলত যোগাযোগের একটি লিখিত মাধ্যম; যেখানে খুব সরল একটি সমীকরণ সহজেই পড়ে ফেলা সম্ভব (যেমন- 1 + 1 = 2), কিন্তু জটিল কোনো সমীকরণ যেমন, ম্যাক্সওয়েলের সমীকরণ পড়তে গেলে বক্তার মাতৃভাষার সহায়তা নিতেই হবে- যে কারণে গণিত তাদের মতে ভাষা হিসেবে বিশ্বজনীনতা হারায়।

একই যুক্তিতে ইশারা বা সাংকেতিক ভাষার (Sign language) স্বীকৃতিও কেড়ে নেয়া যায়। কিন্তু অধিকাংশ ভাষাতাত্ত্বিকেরা সাংকেতিক ভাষাকে সত্যিকার ভাষা হিসেবে স্বীকার করেন।
ভাষা মাত্রই ভাবের আদান প্রদান জরুরী
গণিত দিয়ে আমরা বিশাল মহাবিশ্বের বিবিধ রহস্য থেকে শুরু করে কোষের ক্ষুদ্র জটিল জগত এমনকি ডিএনএ পর্যন্ত ব্যাখ্যা করতে পারি। শুধু তা- নয়, ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পরমাণুকেও ব্যাখ্যা করতে পারি। গ্রহদের গতি, জটিল রোগের প্রতিকার এমনকি ঘরের দরজা থেকে বেরিয়ে কর্মস্থল বা শিক্ষাঙ্গন, পার্ক যেখানেই যাই না কেন গণিতের অস্তিত্বকে ঝেড়ে ফেলার কোনো উপায় নেই। কম্পিউটার আর তথ্য বিনিময়ের অতিকায় বিপ্লবের বিস্তারিত কথা না- বললাম।

দৈনন্দিন জীবনে গণিত আষ্টেপৃষ্ঠে এমনভাবে জড়িয়ে আছে যে আমরা তার খানিকটাও দেখতে পাই না। অনেকটা বাতাসের সমুদ্রে থেকে বাতাসকে না দেখার মতো। আমাদের সহজাত প্রবৃত্তির কারণে আমরা হয়তো অভ্যাসের ভেতর থেকে ছেঁকে এনে ততটা খেয়াল করি না গণিতকে, কিন্তু যদি বলা হয় শুধুমাত্র সংখ্যা ছাড়া একটা দিন চলতে, তাহলে কি কেউ পারবে?

আধুনিক পৃথিবীর কোনো কল্পনায় আপনাকে নাহয় না ভাসালাম। আদিম সমাজের গুহাবাসী কোনো পরিবারের কর্তাকে যদি কেউ বলতো, তোমার কয় ছেলেমেয়ে গো?

কর্তাকে ছেলেমেয়েদের বের করে এনে দেখাতে হতো এই যে এরা! সংখ্যা না থাকলে এছাড়া আর কী উপায় আছে বলার? কর্তা যদি প্রতিকী দাগ দিয়ে, পাথর কিংবা কাঠি দিয়েও ছেলেমেয়ের সংখ্যা বোঝাতে যায় তাহলেও কিন্তু বিপদ! গণিত ঢুকে যাবে এতে!

আমাদের সকল ক্ষেত্রে আষ্টেপৃষ্ঠে এমনভাবে বিজড়িত একটি বিষয়কে ভাষা না বললেও, এর গুরুত্ব ভাষার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।

সূত্র: roarmedia

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধকে জানি

Detail

আমরা চাই গুণগত শিক্ষা। চাই একুশ শতকের দক্ষ জনশক্তি। চাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দীপ্ত উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা কতটুকু জানে বঙ্গবন্ধুকে? শিক্ষার্থীরা কতটুকু জানে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে? এবার সেই সুযোগ করে দিলো মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। ধারাবাহিক মূল্যায়ন কার্যক্রমে অংশ নিবে শিক্ষার্থীরা। ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধকে জানি’ কার্যক্রমের মাধ্যমে।



সপ্তম শ্রেণির বাংলা বইয়ের 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধকে জানি' বিষয়ক শিখনফল অর্জনে বিশেষ পদ্ধতিতে ধারাবাহিক মূল্যায়নের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সব প্রতিষ্ঠান প্রধানকে বিষয়টি জানাতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়। পরিপত্রে ধারাবাহিক মূল্যায়নের বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বাংলা বইয়ের 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধকে' জানি বিষয়ক শিখনফল অর্জনে বিশেষ প্রক্রিয়ায় বলা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কয়েকটি দলে ভাগ করা হবে। একটি দলে আট থেকে দশজন শিক্ষার্থী থাকবে। শিক্ষার্থীরা একজন শিক্ষকের নেতৃত্বে স্থানীয় এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বা প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার নিকটজন বা মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা আছে এমন কারো কাছে যাবেন। শিক্ষার্থীরা নমুনা প্রশ্নের আলোকে তাঁদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করবেন।  এজন্য নমুনা প্রশ্ন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে কিছুদিনের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরবরাহ করা হবে।


সাক্ষাৎকারের সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী লিখবে এবং কয়েকজন শিক্ষার্থী ভিডিও ধারণ করবে। যা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ২০ মিনিটের একটি ভিডিওচিত্র বানাতে হবে। এছাড়া ভিডিওতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ও অবদান, রণাঙ্গন বদ্ধভূমি ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি বিজড়িত যেকোন কিছু স্থান পেতে পারে বলে জানিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর।
 সাক্ষাৎকারের উপর লিখিত প্রতিবেদনও তৈরি করতে হবে শিক্ষার্থীদের। 

দলগতভাবে শিক্ষার্থীদের তৈরি করা এসব ভিডিও চিত্র ও লিখিত প্রতিবেদন নির্ধারিত সময়ে জমা নেবেন বাংলা শিক্ষক ভিডিওচিত্র ও লিখিত প্রতিবেদন জমা দেওয়া ধারাবাহিক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে।

সাক্ষাৎকারের লিখিত প্রতিবেদন ও ভিডিও চিত্রের উপর শিক্ষার্থীদের নম্বর দিবেন বাংলার শিক্ষক। এ কার্যক্রমের জন্য ১০ নাম্বার দেয়া হবে। শিক্ষার্থীদের লিখিত প্রতিবেদনের ওপর পাঁচ নাম্বার এবং ভিডিও চিত্রের উপর পাঁচ নাম্বার। এ নাম্বার সপ্তম শ্রেণির বাংলা ধারাবাহিক মূল্যায়ণের অংশ হিসেবে যোগ হবে সে প্রেক্ষিতে সপ্তম শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্র বিষযয়ের ধারাবাহিক মূল্যায়নের নম্বর বিভাজন হবে, সাক্ষাৎকারের লিখিত প্রতিবেদনে জন্য ৫ নাম্বার ভিডিওচিত্রের জন্য ৫ নাম্বার শ্রেণি পরীক্ষায় ১০ নাম্বার। মোট ২০ নম্বর। 

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের ভিডিওচিত্র ও লিখিত প্রতিবেদন সংরক্ষণ করবে। পরবর্তীতে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে এসব সাক্ষাৎকারের ভিডিওচিত্র তুলে ধরা হবে। প্রদর্শনীতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কৃত করা হবে। 

প্রতিষ্ঠান প্রধান রা শিক্ষার্থীদের সংগ্রহ করা ভিডিও ক্লিপ থেকে সমন্বয় করে শিক্ষকদের সহায়তা নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি ভিডিওচিত্র তৈরি করবেন এবং তা উপজেলা কমিটিকে প্রেরণ করবেন। উপজেলা পর্যায়ের সেরা ভিডিওচিত্রকে জেলায়, জেলা পর্যায়ের সেরা ভিডিওচিত্রকে আঞ্চলিক পর্যায়ে পাঠানো হবে। আঞ্চলিক পর্যায়ে প্রাপ্ত ডকুমেনন্টারিগুলো থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় নির্বাচন করে জাতীয় পর্যায়ে পাঠানো হবে। 

জাতীয় পর্যায়ে কমিটির পাওয়া ডকুমেন্টারিগুলো থেকে ১০টি ডকুমেন্টারিকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। এছাড়া এ ১০টি ডকুমেন্টারি অবলম্বনে আরও দুইটি ডকুমেন্টারি তৈরি করা হবে। 

এছাড়া ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৭মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী এবং ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী শিক্ষকদের তৈরি এসব ডকুমেন্টারি দেখাতে হবে।


সূত্র: Human Development Media

দ্য মাদার অফ হিউম্যানিটি

Detail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা "শেখ হাসিনা: দ্য মাদার অফ হিউম্যানিটি" শীর্ষক একটি কভার স্টোরি দিয়ে নেদারল্যান্ডসের নামীদামী কূটনীতিক পত্রিকা তার সর্বশেষ সংস্করণ উন্মোচন করেছে।হেগের বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, স্থানীয় একটি হোটেলে একটি সাধারণ অনুষ্ঠানে হেগ ভিত্তিক কূটনৈতিক কর্পস, আন্তর্জাতিক মিডিয়া, থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক, ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্ব ইত্যাদির সদস্যদের কাছে সংস্করণটি চালু করা হয়েছিল।চীন, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ইরান, প্রজাতন্ত্র কোরিয়া, উজবেকিস্তান, ফিলিস্তিন রাজ্য, ইয়েমেন, মরোক্কো, তিউনিসিয়া, অ্যাঙ্গোলা, তানজানিয়া, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, লাক্সেমবার্গ, ইউক্রেন, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, কোসোভো, হলি সি, ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতগণ , কিউবা, পেরু, চিলি, ভেনিজুয়েলা এবং ইকুয়েডর; রাশিয়ান ফেডারেশন, জর্জিয়া, আর্জেন্টিনা এবং আজারবাইজান এর চার্জ ডি এফায়ার্স; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কেনিয়া, পোল্যান্ড এবং পানামার দূতাবাসের প্রতিনিধিরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। কূটনীতিক ম্যাগাজিনের প্রকাশক ডাঃ মেলিনে দে লারা এবং নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মোহাম্মদ বেলাল সহ অংশ নেওয়া রাষ্ট্রদূতগণ শ্রোতাদের কাছে সংস্করণটি প্রবর্তন করেছিলেন। রাষ্ট্রদূত বেলাল মানবতার প্রতি নিবেদিত প্রধানমন্ত্রীর অনন্য মুখের কভার স্টোরির জন্য কূটনীতিক ম্যাগাজিনকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে শ্রোতাদের সামনে তুলে ধরেছিলেন যে, বাংলাদেশের উদ্বোধনের সাহসী সিদ্ধান্তের পরে বিশ্ববাসী কীভাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে 'মানবতার জননী' হিসাবে চিনে? মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগণের জন্য এবং এর ফলে হাজার হাজার প্রাণ বাঁচানোর জন্য। রাষ্ট্রদূত আরও ব্যাখ্যা করেন যে কীভাবে বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের অর্থনীতি, বাস্তুশাস্ত্র এবং সুরক্ষার জন্য অসংখ্য চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগণকে একমাত্র মানবিক ভিত্তিতে আশ্রয়, খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা, পানি ও স্যানিটেশন ইত্যাদি সহ সকল ধরণের মানবিক সহায়তা প্রদান করে চলেছে। রাষ্ট্রদূত নির্ধারিত সময়ে সুরক্ষা, মর্যাদা ও মৌলিক অধিকার নিয়ে রাখাইনে বাস্তুচ্যুত মায়ানমারবাসীদের তাদের স্বদেশে শীঘ্রই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সুবিধার্থে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের স্বার্থে দায়মুক্তির সংস্কৃতি নির্মূল করার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও আহ্বান জানান। বাংলাদেশ এখন ২.১ মিলিয়ন রোহিঙ্গার হোস্ট করছে এবং তাদের বেশিরভাগই ২৫ আগস্ট, ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

আজ প্রথম দিন শোকের মাস আগস্ট ২০১৯

Detail

শোকের মাস আগস্টের প্রথম দিন আজ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে নরপিশাচরূপী ঘাতকচক্র। এরপর থেকে এ দিনটি মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের কালিমালিপ্ত বেদনাবিধুর শোকের দিন হিসেবে পরিচিত।

তাই আগস্ট মাসকে পুরো জাতি পালন করে শোকের মাস হিসেবে। ১ আগস্টের প্রথম প্রহর থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই  বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদা, শ্রদ্ধা, শোক ও ভালোবাসায় বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে।

বঙ্গবন্ধু ত্যাগ, সংগ্রাম, বীরত্বপূর্ণ নেতৃত্ব, অদম্য স্পৃহা, দৃঢ় প্রত্যয়, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও আদর্শ দিয়ে সমগ্র বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করে স্বাধীনতা অর্জনের চূড়ান্ত আত্মত্যাগে দীক্ষিত করে তুলেছিলেন।

তার নেতৃত্বে ১৯৪৮-এর ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের জন্ম, ’৪৮-এর মার্চে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা ঘোষণার প্রতিবাদে আন্দোলন, ’৪৯-এর ২৩ জুন আওয়ামী লীগের জন্ম, ’৫২-এর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬-এর ৬-দফা, ’৬৮-এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ও ১১-দফা, ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ’৭০-এর নির্বাচনে ‘আওয়ামী লীগ’-এর নিরঙ্কুশ বিজয়সহ ইতিহাস সৃষ্টিকারী নানা ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা অর্জনের আকাঙ্ক্ষা চূড়ান্ত লক্ষ্যে এগিয়ে যায়।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্নিশপথে ঐক্যবদ্ধ হয় বাঙালি জাতি। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলে শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ।

বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী নেতৃত্বে পাকিস্তানি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ২৪ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের স্ফুলিঙ্গে উজ্জীবিত ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠেন বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রতীক।

বাংলার ইতিহাসের মহানায়ক, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা- বাঙালি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। তিনিই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। কিন্তু ঘাতকরা তার সে স্বপ্ন পূরণ হতে দেয়নি। তারই নেতৃত্বে স্বাধীন হওয়া দেশেই ঘাতকরা এই আগস্টে তাকে সপরিবারে হত্যা করে।১৫ আগস্ট ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম এ হত্যাকাণ্ডে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী
বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের, জাতির জনকের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল, নবপরিণীতা পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি, স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক ও জাতির জনকের ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছোট মেয়ে বেবী সেরনিয়াবাত, কনিষ্ঠ পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত আবদুল্লাহ বাবু, ভাইয়ের ছেলে শহীদ সেরনিয়াবাত, আবদুল নঈম খান রিন্টু, বঙ্গবন্ধুর প্রধান নিরাপত্তা অফিসার কর্নেল জামিল উদ্দিন আহমেদ ও কর্তব্যরত অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিহত হন।

১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করতে ঘৃণ্য ইনডেমনিটি আইন জারি করা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে দীর্ঘ ২১ বছর বাঙালি জাতি বিচারহীনতার কলঙ্কের বোঝা বহন করে।

১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হলে এ বিচারের উদ্যোগ নেয়া হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে নিয়মতান্ত্রিক বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০১০ সালে ঘাতকদের ফাঁসির রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেন শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জনগণের মুক্তির যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তাও বাস্তবায়নের পথে হাঁটতে থাকেন তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যকে জয় করে বিশ্বসভায় একটি উন্নয়নশীল, মর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল।
সূত্র: যুগান্তর

2019

 
Support : | RSTSBD | RSTSBD
Copyright © 2017. রূপকল্প ২০৪১ - All Rights Reserved
This Blog Published by RSTSBD
Created by Uno Badalgachi