আজ অবরুদ্ধ পুরো পৃথিবী।মহামারি করোনাতে এই পৃথিবী আজ বদ্ধ। চারদিকে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল।
আর এই মৃত্যুর যাত্রা হতে ফিরে আশার প্রার্থনা জানিয়ে তরুণ কবি ও লেখক সহস্র সুমন।
সৃষ্টিশীল সহস্র সুমন বলেন, ‘পৃথিবীতে মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ আসে প্রতিশ্রুতিশীলতার অভাবে। যে কোনো দুর্যোগে ও মহামারিতে মানুষ বুঝতে পারে যে তাদের সামাজিক দৃঢ়তা ঋণাত্মক নাকি ধনাত্মক। তাই এই সময় নিজেকে প্রতিশ্রুতী আর আবেগে বেধা ফেলা খুব প্রয়োজন! ভবিষ্যতে ভীষণ করে বাঁচার তাগিদের সাথে সামাজিক সৌহার্দ্য বৃদ্ধির মন্ত্র হলো 'এ যাত্রায় বেঁচে গেলে’।
‘এ যাত্রায় বেঁচে গেলে’।
এ যাত্রায় বেঁচে গেলে, ভীষণ করে বাঁচবো,
সবাইকে জড়িয়ে ধরে অনেক করে কাঁদবো।
এ যাত্রায় রেহাই যদি পাই, অন্যের কথা ভাববো।
যার যেখানে অংশ আছে হিসেবগুলো চুকিয়ে দেবো,
একাকী নিড়ের ছানা, দু মুঠো খেলো কিনা- খবর নেব,
এ যাত্রায় বেঁচে যদি যাই, অন্যদের আগে বাঁচতে দেব।
ঘর থেকে বেরিয়ে প্রথম নদীর কাছে ক্ষমা চাবো,
বন পাহাড় আর সাগর দেশে বিনয় হেসে নত হবো,
এ যাত্রায় বেঁচে গেলে আমি ঋণ না হয়ে পরিশোধ হবো।
আর হবো না অহংকারী, আর হবো না রাশভারী,
থামিয়ে দেব লোভ লালসার রাহাজানি, ধর্ম নিয়ে মহাজনী,
পবিত্র প্রাণের ইবাদত হবো।
এ যাত্রায় বেঁচে বর্তে গেলে, মানুষের তরে মানুষ হবো।
নতুন করে স্কুলে যাবো, কলেজে যাবো,
মামার হাতের ফুচকা খাবো, চায়ের কাপে ঝড় ওঠাবো।
বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দেব, হাসিগুলো ছড়িয়ে দেব,
ঘুড়ি ওড়াবো রংবেরঙের, নৌকা হবো মুক্ত পালের।
এ যাত্রায় বেঁচে যদি যাই,
দূর্বলের কাছে আর যম হবো না,
হরিণ ঘাতক তীর হবো না,
অসৎ পথের ভিড় হবো না,
সত্যি যদি রেহাই পাই, বেঁচে যদি যাই এ যাত্রায় একটি বার,
যত অন্যায় পুষিয়ে দেব, যত হিংসা মিটিয়ে দেব।
বাড়ি ফিরলে এবার,
মায়ের শাড়ির আঁচল হবো, বউ এর চোখের কাজল হবো, ছেলের কাছে ঘোড়া হবো।
আর যদি না বাঁচি, যদি হারিয়ে যাই ওই একাকী অন্ধকারের দেশে,
অন্তত দূর আকাশের চাঁদটি হবো, যতটুকু পারি আলো ছড়াবো।
পরবর্তীতে কবিতাটিকে আবৃত্তি করেছেন দেশের ২১ জন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। আর এই অবৃত্তি পরিচালনা করেন নাট্য অভিনেতা টনি ডায়েস।