করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ঘরে থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। September 2019 - রূপকল্প ২০৪১

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধকে জানি

Detail

আমরা চাই গুণগত শিক্ষা। চাই একুশ শতকের দক্ষ জনশক্তি। চাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দীপ্ত উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা কতটুকু জানে বঙ্গবন্ধুকে? শিক্ষার্থীরা কতটুকু জানে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে? এবার সেই সুযোগ করে দিলো মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। ধারাবাহিক মূল্যায়ন কার্যক্রমে অংশ নিবে শিক্ষার্থীরা। ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধকে জানি’ কার্যক্রমের মাধ্যমে।



সপ্তম শ্রেণির বাংলা বইয়ের 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধকে জানি' বিষয়ক শিখনফল অর্জনে বিশেষ পদ্ধতিতে ধারাবাহিক মূল্যায়নের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সব প্রতিষ্ঠান প্রধানকে বিষয়টি জানাতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়। পরিপত্রে ধারাবাহিক মূল্যায়নের বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বাংলা বইয়ের 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধকে' জানি বিষয়ক শিখনফল অর্জনে বিশেষ প্রক্রিয়ায় বলা হয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কয়েকটি দলে ভাগ করা হবে। একটি দলে আট থেকে দশজন শিক্ষার্থী থাকবে। শিক্ষার্থীরা একজন শিক্ষকের নেতৃত্বে স্থানীয় এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বা প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার নিকটজন বা মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা আছে এমন কারো কাছে যাবেন। শিক্ষার্থীরা নমুনা প্রশ্নের আলোকে তাঁদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করবেন।  এজন্য নমুনা প্রশ্ন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে কিছুদিনের মধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরবরাহ করা হবে।


সাক্ষাৎকারের সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী লিখবে এবং কয়েকজন শিক্ষার্থী ভিডিও ধারণ করবে। যা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ২০ মিনিটের একটি ভিডিওচিত্র বানাতে হবে। এছাড়া ভিডিওতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ও অবদান, রণাঙ্গন বদ্ধভূমি ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি বিজড়িত যেকোন কিছু স্থান পেতে পারে বলে জানিয়েছে শিক্ষা অধিদপ্তর।
 সাক্ষাৎকারের উপর লিখিত প্রতিবেদনও তৈরি করতে হবে শিক্ষার্থীদের। 

দলগতভাবে শিক্ষার্থীদের তৈরি করা এসব ভিডিও চিত্র ও লিখিত প্রতিবেদন নির্ধারিত সময়ে জমা নেবেন বাংলা শিক্ষক ভিডিওচিত্র ও লিখিত প্রতিবেদন জমা দেওয়া ধারাবাহিক মূল্যায়নের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে।

সাক্ষাৎকারের লিখিত প্রতিবেদন ও ভিডিও চিত্রের উপর শিক্ষার্থীদের নম্বর দিবেন বাংলার শিক্ষক। এ কার্যক্রমের জন্য ১০ নাম্বার দেয়া হবে। শিক্ষার্থীদের লিখিত প্রতিবেদনের ওপর পাঁচ নাম্বার এবং ভিডিও চিত্রের উপর পাঁচ নাম্বার। এ নাম্বার সপ্তম শ্রেণির বাংলা ধারাবাহিক মূল্যায়ণের অংশ হিসেবে যোগ হবে সে প্রেক্ষিতে সপ্তম শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্র বিষযয়ের ধারাবাহিক মূল্যায়নের নম্বর বিভাজন হবে, সাক্ষাৎকারের লিখিত প্রতিবেদনে জন্য ৫ নাম্বার ভিডিওচিত্রের জন্য ৫ নাম্বার শ্রেণি পরীক্ষায় ১০ নাম্বার। মোট ২০ নম্বর। 

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের ভিডিওচিত্র ও লিখিত প্রতিবেদন সংরক্ষণ করবে। পরবর্তীতে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে এসব সাক্ষাৎকারের ভিডিওচিত্র তুলে ধরা হবে। প্রদর্শনীতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কৃত করা হবে। 

প্রতিষ্ঠান প্রধান রা শিক্ষার্থীদের সংগ্রহ করা ভিডিও ক্লিপ থেকে সমন্বয় করে শিক্ষকদের সহায়তা নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি ভিডিওচিত্র তৈরি করবেন এবং তা উপজেলা কমিটিকে প্রেরণ করবেন। উপজেলা পর্যায়ের সেরা ভিডিওচিত্রকে জেলায়, জেলা পর্যায়ের সেরা ভিডিওচিত্রকে আঞ্চলিক পর্যায়ে পাঠানো হবে। আঞ্চলিক পর্যায়ে প্রাপ্ত ডকুমেনন্টারিগুলো থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় নির্বাচন করে জাতীয় পর্যায়ে পাঠানো হবে। 

জাতীয় পর্যায়ে কমিটির পাওয়া ডকুমেন্টারিগুলো থেকে ১০টি ডকুমেন্টারিকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। এছাড়া এ ১০টি ডকুমেন্টারি অবলম্বনে আরও দুইটি ডকুমেন্টারি তৈরি করা হবে। 

এছাড়া ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৭মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী এবং ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী শিক্ষকদের তৈরি এসব ডকুমেন্টারি দেখাতে হবে।


সূত্র: Human Development Media

দ্য মাদার অফ হিউম্যানিটি

Detail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা "শেখ হাসিনা: দ্য মাদার অফ হিউম্যানিটি" শীর্ষক একটি কভার স্টোরি দিয়ে নেদারল্যান্ডসের নামীদামী কূটনীতিক পত্রিকা তার সর্বশেষ সংস্করণ উন্মোচন করেছে।হেগের বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, স্থানীয় একটি হোটেলে একটি সাধারণ অনুষ্ঠানে হেগ ভিত্তিক কূটনৈতিক কর্পস, আন্তর্জাতিক মিডিয়া, থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক, ব্যবসায়িক ব্যক্তিত্ব ইত্যাদির সদস্যদের কাছে সংস্করণটি চালু করা হয়েছিল।চীন, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ইরান, প্রজাতন্ত্র কোরিয়া, উজবেকিস্তান, ফিলিস্তিন রাজ্য, ইয়েমেন, মরোক্কো, তিউনিসিয়া, অ্যাঙ্গোলা, তানজানিয়া, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, লাক্সেমবার্গ, ইউক্রেন, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, কোসোভো, হলি সি, ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতগণ , কিউবা, পেরু, চিলি, ভেনিজুয়েলা এবং ইকুয়েডর; রাশিয়ান ফেডারেশন, জর্জিয়া, আর্জেন্টিনা এবং আজারবাইজান এর চার্জ ডি এফায়ার্স; মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কেনিয়া, পোল্যান্ড এবং পানামার দূতাবাসের প্রতিনিধিরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। কূটনীতিক ম্যাগাজিনের প্রকাশক ডাঃ মেলিনে দে লারা এবং নেদারল্যান্ডসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মোহাম্মদ বেলাল সহ অংশ নেওয়া রাষ্ট্রদূতগণ শ্রোতাদের কাছে সংস্করণটি প্রবর্তন করেছিলেন। রাষ্ট্রদূত বেলাল মানবতার প্রতি নিবেদিত প্রধানমন্ত্রীর অনন্য মুখের কভার স্টোরির জন্য কূটনীতিক ম্যাগাজিনকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে শ্রোতাদের সামনে তুলে ধরেছিলেন যে, বাংলাদেশের উদ্বোধনের সাহসী সিদ্ধান্তের পরে বিশ্ববাসী কীভাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে 'মানবতার জননী' হিসাবে চিনে? মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগণের জন্য এবং এর ফলে হাজার হাজার প্রাণ বাঁচানোর জন্য। রাষ্ট্রদূত আরও ব্যাখ্যা করেন যে কীভাবে বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের অর্থনীতি, বাস্তুশাস্ত্র এবং সুরক্ষার জন্য অসংখ্য চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও নির্যাতিত রোহিঙ্গা জনগণকে একমাত্র মানবিক ভিত্তিতে আশ্রয়, খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা, পানি ও স্যানিটেশন ইত্যাদি সহ সকল ধরণের মানবিক সহায়তা প্রদান করে চলেছে। রাষ্ট্রদূত নির্ধারিত সময়ে সুরক্ষা, মর্যাদা ও মৌলিক অধিকার নিয়ে রাখাইনে বাস্তুচ্যুত মায়ানমারবাসীদের তাদের স্বদেশে শীঘ্রই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সুবিধার্থে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের স্বার্থে দায়মুক্তির সংস্কৃতি নির্মূল করার জন্য তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও আহ্বান জানান। বাংলাদেশ এখন ২.১ মিলিয়ন রোহিঙ্গার হোস্ট করছে এবং তাদের বেশিরভাগই ২৫ আগস্ট, ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

September 2019

 
Support : | RSTSBD | RSTSBD
Copyright © 2017. রূপকল্প ২০৪১ - All Rights Reserved
This Blog Published by RSTSBD
Created by Uno Badalgachi