করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ঘরে থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। 2017 - রূপকল্প ২০৪১

মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষায় তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগ ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের ব্যবহার

Detail

আজ পৃথিবী ‘গ্লোবাল ভিলেজ’ বলে গণ্য। বিজ্ঞানের ক্রম-অগ্রগতির এ সময়টিকে বিশ্বজুঁড়ে চিহ্নিত করা হচ্ছে তথ্য-প্রযুক্তির যুগ হিসেবে। বর্তমানে সামরিক বা পারমাণবিক শক্তি নয় তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের সক্ষমতা দ্বারাই নির্ধারিত হচ্ছে দেশ বা রাষ্ট্রের ক্ষমতা। বিজ্ঞানের যুগ পেরিয়ে এখন আমরা প্রযুক্তির যুগে। প্রযুক্তির অবাধ ব্যবহার মানব সভ্যতায় আমাদের পৃথিবীটাকে ‘গ্লোবাল ফ্যামিলি’তে পরিণত করেছে। মানুষ গোটা পৃথিবীকে নিজের বশে এনেছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সহায়তায়। মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ইন্টারনেট ইত্যাদির উদ্ভাবন মানব সভ্যতাকে পৌঁছে দিয়েছে ভিন্ন এক উচ্চতায়। সুশাসন প্রতিষ্ঠার অন্যতম পূর্ব শর্ত তথ্য ও প্রযুক্তির নিত্য ব্যবহারে বাংলাদেশও আজ এগিয়ে যাচ্ছে তার অভীষ্ট লক্ষ্যপানে।
‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে ১৯৯৬ সালে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বর্তমান সরকার ক্ষমতাসীন হয়। এ সরকারের আমলে শিক্ষাক্ষেত্রে ডিজিটাল বা তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ আন্দোলনের একটি অন্যতম ক্ষেত্র বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। তথ্য ও প্রযুক্তির গুরুত্ব উপলব্ধি করে আমাদের শিক্ষায় এর সফল সংযোজন ঘটিয়েছে সরকার। আমাদের শিক্ষার নানা ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের শিক্ষাকে টেকসই ও মানসম্মত পর্যায়ে পৌঁছিয়ে দিতে সহায়তা করছে। ই-বুক প্রণয়ন, কম্পিউটারের মাধ্যমে পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন, শিক্ষার্থীর তথ্য সংরক্ষণ, শ্রেণি কক্ষে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ব্যবহার করে ডিজিটাল কন্টেন্টের মাধ্যমে পাঠ উপস্থাপন ইত্যাদি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যুগোপযোগী ও বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেছে। বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতার ম্যারাথন দৌড়ে আমাদের জাতিকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে আইসিটি শিক্ষার মাধ্যমে জাতিকে এগিয়ে নিয়ে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ে তুলে ‘ভিশন-২০২১’ বাস্তবায়নে আইসিটি শিক্ষার উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে ।
শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতকরনে বিশ্বায়নের যুগে উন্নত দেশের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও শিক্ষার প্রচলিত ধারার শিখন-শেখানো পদ্ধতির পরিবর্তে শিখন-শেখানো পদ্ধতিতে তথ্য- প্রযুক্তির সংযোগ ঘটানো হয়েছে। কম্পিউটার শিক্ষা বা ল্যাবভিত্তিক বদ্ধমূল ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের মাধ্যমে তথ্য-প্রযুক্তিকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে কাজে লাগানো হচ্ছে। কঠিন, দূর্বোধ্য ও বিমূর্ত বিষয়সমূহকে শিক্ষকগণ ছবি, অ্যানিমেশন ও ভিডিও ক্লিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সামনে সহজবোধ্য করে উপস্থাপন করার মাধ্যমে শ্রেণি কার্যক্রমকে আনন্দময় করে তোলা হচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়,
পঠন দক্ষতা উন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (iCT)’র সমন্বয় ঘটানোয় প্রমিত উচ্চারণ শেখা, বোধগম্যতার উন্নয়ন, পড়ার আগ্রহ তৈরি এবং সর্বোপরি পাঠাভ্যাস সৃষ্টিতে আইসিটি কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হচ্ছে। মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের মাধ্যমে পাঠকে আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করা, কঠিন বিষয় সহজভাবে তুলে ধরা, শিক্ষার্থীদের সহজে শিখন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা এবং সৃজনশীল প্রশ্নের অনুশীলন কার্যক্রম খুব সহজভাবেই পরিচালিত করা হচ্ছে।
উদাহরণস্বরূপ, হৃদপিন্ড, পাকস্থলী ও ফুসফুসের কার্যপ্রণালী; উদ্ভিদের বৃদ্ধি, শ্বসন ও অঙ্কুরোদগম; প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্য ও প্রাকৃতিক দূর্যোগের নানা কার্যকারণ সম্পর্ক শ্রেণিকক্ষে পড়ানোর ক্ষেত্রে ছবি, অ্যানিমেশন বা ভিডিও’র কোন বিকল্প নেই। ইংরেজী, বাংলা, সমাজ, ধর্মসহ প্রতিটি বিষয়ে শিক্ষার্থীদেরকে সুস্পষ্ট ও বৈশ্বিক ধারণা মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে। ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (A2i) প্রোগ্রামের উদ্যোগে ৭টি বিদ্যালয়ের ২৩ জন শিক্ষক নিয়ে পাইলট আকারে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম কার্যক্রম শুরু করা হয়। A2i প্রোগ্রামের সহযোগিতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সারাদেশে পঁচিশ হাজারের বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়।
A2i প্রোগ্রামের সহযোগিতায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫৫ হাজারের বেশি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষককে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ও ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। শিক্ষকগণ বিজ্ঞান, গণিত, ভূগোল, ধর্ম, বাংলা, কৃষিশিক্ষাসহ প্রতিটি বিষয়ের ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করছেন ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে ব্যবহার করছেন। মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ব্যবহারের মাধ্যমে গতানুগতিক শিক্ষক-কেন্দ্রিক শিক্ষা কার্যক্রমকে শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক আনন্দময় শিক্ষায় রূপান্তর করতে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম মনিটরিং ও মেইনটেনিং-এ জেলা-উপজেলা প্রশাসন, জেলা-উপজেলা শিক্ষা অফিস ও টিচার্স ট্রেনিং কলেজ সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
২০১৩ সালে ১৫৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের একটি ইমপ্যাক্ট স্টাডির ফলাফলে দেখা যায় যে, যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের মাধ্যমে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়, সেখানে শিক্ষার্থীরা ক্লাস লেসন ভালভাবে বুঝতে পারে এবং তাদের মুখস্থ বিদ্যার প্রবণতা কমেছে। এ সকল শিক্ষার্থীদের শেখার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে এবং ক্লাসে তাদের একঘেয়েমিভাবও দূর হয়েছে।
এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকগণের সাক্ষাতকার গ্রহণ করে জানা যায় যে, ইন্টারনেট সার্চ করে বিভিন্ন দেশের শিখন-শেখানো উপকরন ডাউনলোড করে নিজ সংস্কৃতি, বিষয় ও শ্রেণি উপযোগী কনটেন্ট তৈরি করার মাধ্যমে শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা ও জ্ঞান বৃদ্ধি পেয়েছে। মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে তাদের আত্মবিশ্বাস বহুগুণে বেড়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের সাথে খুব সাবলীলভাবে যোগাযোগ স্থাপন ও অতি সহজেই ক্লাস পরিচালনা করতে পারছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানগণের মতামত বিশ্লেষন করে দেখা যায় যে, এসব প্রতিষ্ঠানের ফলাফল পূর্বের থেকে ভাল হয়েছে, প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের মাত্রা বেড়েছে এবং শিক্ষার গুণগত পরিবর্তন ঘটছে।
দেশের শত বছরের পুরাতন শিক্ষাদান পদ্ধতির পরিবর্তন ঘটিয়ে সরকার ডিজিটাল ক্লাস রুম-এর কর্মসূচীর উদ্দেশ্য কেবল তথ্য প্রযুক্তিগত শিক্ষা নয়; বরং শিক্ষায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি করা। প্রচলিত ধারায় শিক্ষা শিক্ষার্থীদের কাছে একটি কঠিন ও নিরস বিষয়। এ ধারায় পাঠ্যপুস্তকের বিষয়সমূহ শিক্ষকগণ শ্রেণীকক্ষে যেভাবে উপস্থাপন করেন তাতে শিক্ষার্থীরা পঠিত বিষয়ের প্রতি কিছুতেই আগ্রহী হয়ে উঠছে না। শিক্ষা-বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখা যাচ্ছে না এবং বিষয়বস্তু ঠিক মতো বোধগম্যও হচ্ছে না। তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা পঠিত বিষয়কে না বুঝেই আত্মস্থ করার চেষ্টা করছে। ফলে প্রকৃত শিখনফল অর্জিত হচ্ছে না। পরীক্ষায় ফল ভালো করলেও কর্মজীবনে গিয়ে অর্জিত শিক্ষাকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হচ্ছে। শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজিত এই সমস্যাকে দূর করার লক্ষ্যে ডিজিটাল ক্লাসরুম একটি শুভ সূচনা। এতে শিক্ষা বিষয়টিকে শিক্ষার্থীর নিকট অনেক বেশি আনন্দময়, সহজবোধ্য করে তোলা হচ্ছে। শিক্ষা হয়ে উঠছে শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক।
শিক্ষার মানোন্নয়নে ‘শিক্ষকদের দ্বারা ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি’ এটুআই প্রকল্প কর্তৃক উদ্ভাবিত আরেকটি উল্লেখ করার মতো বিষয়। ডিজিটাল কনটেন্ট হলো পাঠ্যপুস্তকে বর্ণিত বিষয়কে শব্দে, ছবিতে ও গতিময়তায় উপস্থাপনের জন্য নির্মিত শিক্ষকদের তৈরি অডিও-ভিজ্যুয়াল উপকরণ। শিক্ষকগণ আগে থেকেই কম্পিউটারে পাওয়ার পয়েন্ট প্রোগ্রামে বিভিন্ন ভিডিও, অডিও, ইফেক্ট, এনিমেশন ব্যবহার করে পাঠ্যপুস্তকের কনটেন্টকে স্লাইডে রূপান্তরি করেন। পরে শ্রেণী কক্ষ্যে সেটি শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করেন। এতে পাঠ্যপুস্তকের কালো অক্ষরে বর্ণিত ঘটনা বা বিষয় শিক্ষার্থীর কাছে শব্দে, চিত্রে, গতিময়তা, ভিডিও এবং এনিমেশনের মাধ্যমে সহজেই জীবন্ত ও হৃদয়গ্রাহী হয়ে উঠছে। শিক্ষকদের তৈরি ডিজিটাল কনটেন্ট একটি বিশেষ ওয়েব সাইট এবং জাতীয় ই-তথ্যকোষে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষকগণ এ সব সাইট থেকে ডিজিটাল কনটেন্ট সংগ্রহ করে এমনকি প্রয়োজন অনুযায়ী সম্পাদনা করে শ্রেণীকক্ষে ব্যবহার করতে পারেন। এ পদ্ধতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রযুক্তি তথা কম্পিউটার বা ল্যাপটপ আজ ক্লাসে নিত্যদিনের শিক্ষাপোকরণ।
ডিজিটাল ক্লাসরুম এবং কনটেন্টের ব্যবহার আমাদের দেশে নতুন হলেও উন্নত দেশগুলোতে এর প্রচলন আগেই হয়েছে। এখন বিশ্বজুড়ে বিদ্যালয়গুলোতে শ্রেণীকক্ষে শিখন-শেখানো কার্যক্রমে ব্যাপক পরিবর্তন ও এ নিয়ে গবেষণা চলছে। এ বিষয়ে উন্নত দেশগুলো এমনকি ভারত, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলো এগিয়ে থাকলেও আমাদের দেশে বাস্তবে শ্রেণী পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, শিক্ষকগণ প্রচলিত শিক্ষাদান পদ্ধতি ব্যবহার করেই শ্রেণী পাঠদান পরিচালনা করতে বেশি উৎসাহী যা শিক্ষার্থীদের মুখস্থবিদ্যার দিকেই ঠেলে দিচ্ছে।
অর্থাৎ শিক্ষকগণ শুধু পাঠ্যপুস্তক, চক, ডাস্টার, বোর্ড ব্যবহার করেই শিক্ষক-কেন্দ্রিক শ্রেণী পাঠদানে নিয়োজিত রয়েছেন। এর নানাবিধ কারণ থাকলেও মূল কারণ শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক শ্রেণী কার্যক্রম সম্পর্কে শিক্ষকদের অনিহা ও অনভিজ্ঞতা। আধুনিক শিক্ষা বিজ্ঞান বলছে, শ্রেণীকক্ষের পাঠদান কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে না পারলে পাঠদান ফলপ্রসূ হয় না। এ জন্য শিক্ষককে বিভিন্ন কলা-কৌশল প্রয়োগ করতে হয়। শ্রেণী কার্যক্রমের শুরুতে শিক্ষক এমন কিছু উপকরণ প্রদর্শন করবেন যা শিক্ষার্থীদের জীবনঘনিষ্ঠ এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থার সঙ্গে বাস্তব বা মূর্তমান হয়। অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী আলোচনায় অংশগ্রহণ করবে এবং পাঠ শিরোনাম তারাই বের করে আনবে। শ্রেণীকক্ষে উপস্থাপিত বিষয়বস্তুর সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য, সুবিধা-অসুবিধা, পার্থক্য ইত্যাদি শিক্ষার্থীরা নিজেরাই বের করবে এবং তা করার জন্য শিক্ষক সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি ও কৌশল প্রয়োগ করবেন। উপজেলা প্রশাসন, নাইক্ষ্যংছড়ি মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত ও আনন্দময় প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দূর্গম নাইক্ষ্যংছড়ির ৫৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে। শিক্ষকদের ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরীতে প্রশিক্ষণ প্রদান, শিক্ষার্থীদের naikonsare-4মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির প্রতি ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি, উম্মুক্ত জ্ঞানের অবাধ প্রবাহ প্রভৃতি বিষয়ে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। বিদ্যুতবিহীন স্কুল সমূহে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার ও শিক্ষকদের ৩-জি সিম সম্বলিত ট্যাব প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক সরেজমিনে বিদ্যালয় সমূহে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম পরিদর্শন ও তথ্য প্রযুক্তি শিক্ষা প্রদান করা হচ্ছে।
আমাদের শিক্ষার্থীদের একুশ শতকের দক্ষ জনগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আর এ কাজ সম্পাদনে শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য-প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটানোর কোন বিকল্প নেই। বিদ্যালয় জীবনের শুরুতে পড়ার মজবুত ভিত নিশ্চিত করার মাধ্যমে একই শ্রেণিতে শিশুর পুনরাবৃত্তি এবং প্রাথমিক শিক্ষাস্তরে ঝরে পড়ার হার হ্রাস করার জন্য তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগ অপরিহার্য। আধুনিক শিক্ষাবিজ্ঞানের এই প্রত্যাশা পূরণের ক্ষেত্রে আমাদের দেশে সত্যিকার অর্থে শিক্ষার প্রধান শক্তিশালী হাতিয়ার আইসিটি। দিনে দিনে বিজ্ঞানের প্রতি শিক্ষার্থীদের যে ভীতি বা অনাগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে; আইসিটি ব্যবহার করে ক্লাস নিতে পারলে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে।
এমডিজি অর্জনে প্রাথমিক শিক্ষায় আইসিটির ব্যবহার বাংলাদেশের ব্যাপক সাফল্য নিশ্চিত করেছে। এসডিজিতেও সরকার মান সম্মত প্রাথমিক শিক্ষার প্রতি অপরিসীম গুরুত্ব দিয়েছে এবং ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। মাঠ পর্যায়ে এ সব কার্যক্রম সফলভাবে সম্পাদনের মাধ্যমে উপজেলা প্রশাসন নাইক্ষ্যংছড়ি সরকারের ভিশন-২০২১, ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।
আবু সাফায়াৎ মুহম্মদ শাহে দুল ইসলাম
উপজেলা নির্বাহী অফিসার
নাইক্ষ্যংছড়ি, বান্দরবান।

তথ্য সূত্র:
একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রাম, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ঢাকা।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, ঢাকা।

মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের নামে কী চলছে!

Detail
বেড়িবাঁধের পাশে টিনশেডের আধাপাকা বাড়ি। ছোট ছোট পাঁচটি কক্ষ। নেই আলো-বাতাসের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা, ঘরের জানালা বলতে টিনকাটা ফোকর। তার মধ্যেই রান্না ও থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা। চিকিত্সক নেই, নেই চিকিত্সা সরঞ্জাম, রোগীরা ঘুমায় মেঝেতে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, এটি একটি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র। মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধসংলগ্ন ঢাকা উদ্যানে এ কেন্দ্রটির নাম ‘নিউ তরী’। এর পাশে ‘জীবনের আলো’ ও ‘ফিউচার’ নামের আরও দুটি কেন্দ্রেরও একই চিত্র।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা মহানগরে এভাবে পাঁচ শতাধিক মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র চলছে। এগুলোকে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখিয়ে কেউ কেউ সমাজসেবা অধিদপ্তর বা ঢাকা সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছে সনদ নিয়ে কেন্দ্র পরিচালনা করছেন। এসব কেন্দ্রে চিকিত্সাসুবিধা বলতে কিছু নেই। আছে অভিযোগ আর অভিযোগ—চিকিত্সার নামে রোগীর ওপর শারীরিক নির্যাতন, মাদকের ব্যবসা পরিচালনা ও রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে ইচ্ছামতো অর্থ আদায়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, ২০০৫ সালে প্রণীত হয় ‘মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্র ও মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা বিধিমালা’। এটি অনুসারে কেন্দ্র পরিচালনার জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন নেওয়ার কথা। কিন্তু এ পর্যন্ত মাত্র ১০টি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন নিয়েছে। নিবন্ধন নেয়নি এমন প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করেছে অধিদপ্তর।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঢাকা মেট্রো উপ-অঞ্চলের সহকারী পরিচালক রবিউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তালিকা ধরে বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা কর্ণপাত করছেন না। প্রভাবশালী কেউ তাঁদের পেছনে রয়েছেন। আবার কিছু রোগী থাকার কারণে হঠাত্ করে এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। তবে শিগগির নিবন্ধন নেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে সময় বেঁধে দেওয়া হবে। নিবন্ধন না নিলে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো উপ-অঞ্চলের আরেক কর্মকর্তা জানান, রাজধানীতে বেসরকারিভাবে পাঁচ শতাধিক নিরাময় কেন্দ্র থাকলেও নিবন্ধন নিয়েছে মাত্র ১০টি। অন্যরা আবেদন পর্যন্ত করেনি।
ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার এ কে এম শহীদুল হক বলেন, এটা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা শুধু মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের। বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে পরিচালিত হওয়া এসব কেন্দ্র বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো সহযোগিতা চাইলে পুলিশ তা করবে।
জানা যায়, পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে গুলশানের ব্যবসায়ী জাকাউল্লাকে তাঁর পরিবারের সদস্যরা মাদকসেবী অপবাদ দিয়ে তিন মাস নিউ তরী নিরাময় কেন্দ্রে চিকিত্সার নামে আটকে রাখেন। গত বছরের ২ জুন জাকাউল্লার স্ত্রী ইশরাত জাহান আইনি লড়াইয়ে জিতে স্বামীকে মুক্ত করেন। ওই ব্যবসায়ীকে জোর করে আটক রাখার অভিযোগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ওই নিরাময় কেন্দ্রের সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। ১৫ দিন বন্ধ থাকার পর অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশে নিউ তরীর কার্যক্রম আবার শুরু হয়। ওই কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, দুটি কক্ষের মেঝেতে ২৫ জন রোগীর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি কক্ষ তুলনামূলক বড় হওয়ায় দিনে সেখানে রোগীদের মানসিক চিকিত্সা বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়। রাতে ওই কক্ষের মেঝেতে বিছানা পেতে রোগীরা ঘুমান বলে জানান প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। এখানে জরুরি বিদ্যুতের জন্য নিজস্ব জেনারেটর নেই। রোগীদের চিত্তবিনোদনের জন্য লুডু ও দাবা কোর্ট রাখা হলেও কেউ তা খেলেন না।
পাশের ফিউচার কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সেখানকার পরিবেশ ছিমছাম। তবে রোগীদের ঘুমানোর জন্য পর্যাপ্ত খাট নেই। একটি বিছানায় দুজনের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। মেঝেতে শুয়ে আছেন কেউ কেউ। এখানে একটি মাত্র ক্যারম বোর্ড রয়েছে।
জীবনের আলো কেন্দ্রে ২৫ জন রোগীকে পাওয়া যায়। টিনশেডের এই বাড়িতে মেঝেতে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানেও রোগীরা মেঝেতে ঘুমান। ১০ শয্যার কেন্দ্রে যেসব সুবিধা থাকার কথা, তার কিছুই নেই এখানে।
নিউ তরী মাদকাসক্ত সেবা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ হেলাল জানান, এটি ১০ শয্যার। বাড়তি রোগী থাকলেও সবাই এখানে থাকেন না। অনেকেই বাইরে থেকে এসে চিকিত্সা নিয়ে বাসায় ফিরে যান। এখন ১৫ জন রোগী আছেন। জেনারেটর না থাকলেও জরুরি বিদ্যুতের জন্য জেনারেটর লাইন ভাড়া নেওয়া আছে। নিবন্ধন নিয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা নিবন্ধনের জন্য প্রকল্প প্রস্তাবনা (প্রজেক্ট প্রোফাইল) জমা দিয়েছি। কর্মকর্তারা ফাইল জিম্মি করে ধান্দা করছেন।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি পর্যায়ে মাদকাসক্তি পরামর্শ কেন্দ্র, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র ও মাদকাসক্ত পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা বা সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য ২০০৫ সালের জুনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি বিধিমালা প্রণয়ন করা হয়। এই বিধিমালার ৪ (খ) ধারায় বলা হয়েছে, ওই কেন্দ্র সুরক্ষিত পাকা বাড়িসহ আবাসিক এলাকায় হতে হবে এবং এতে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের সুবিধাসহ নিরিবিলি সুন্দর পরিবেশ থাকতে হবে। খ ধারায় বলা আছে, ওই কেন্দ্রে একজন মাদকাসক্ত রোগীর জন্য গড়ে কমপক্ষে ৮০ বর্গফুট জায়গা থাকতে হবে এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তার জন্য সুরক্ষিত ব্যবস্থা থাকতে হবে। এ ছাড়া বহুতল ভবনের তৃতীয় তলা বা তার চেয়ে ওপরের তলায় অবস্থিত হলে ওঠানামার জন্য লিফটের ব্যবস্থা থাকতে হবে। গ ধারায় বলা আছে, প্রতি ১০ বিছানার জন্য পৃথক একটি টয়লেট ও পানীয়জলের সুব্যবস্থাসহ কমপক্ষে একজন মনোচিকিত্সক (খণ্ডকালীন বা সার্বক্ষণিক), একজন চিকিত্সক, দুজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্স বা বয়, একজন সুইপার বা আয়া এবং জীবনরক্ষাকারী উপকরণ ও অত্যাবশ্যক ওষুধপত্র থাকতে হবে।
এ ছাড়া প্রতি রোগীর জন্য একটি করে বিছানাসহ খাট, খাটের পাশে লকার বা টেবিল। জরুরি বিদ্যুত্ সরবরাহের জন্য জেনারেটরের ব্যবস্থা থাকার কথা থাকলেও অধিকাংশ কেন্দ্রে তা নেই।
ঢাকা উদ্যানে ফিউচার মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের কর্মসূচি সমন্বয়কারী সৈয়দ ইসকানদার আলী জানান, বিধিমালায় লাইসেন্স পাওয়ার জন্য যেসব শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে, তার অনেকটাই অপ্রয়োজনীয় এবং কঠিন। তাঁর মতে, মনোরোগ চিকিত্সক, একজন চিকিত্সক, দুজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নার্স বা বয়, একজন সুইপার বা আয়া, জেনারেল ইনস্ট্রুমেন্ট সেট, রোগী বহনের ট্রলি, স্ট্রেচার, বেডপ্যান, ফ্লোমিটার ও মাস্কসহ অক্সিজেন সিলিন্ডার, সার্জিক্যাল কাঁচি, ব্লেডের কোনো প্রয়োজন নেই। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অধিকাংশ মালামাল অব্যবহূত থাকবে। সারা দিন একজন চিকিত্সক কাজ না করে বসে থাকার পর তিনি এখানে চাকরি করতে চাইবেন না।
এ ছাড়া লাইসেন্সের শর্তে বলা আছে, আবেদনপত্রে যে ঠিকানা উল্লেখ করা হয়, সেখানেই কেন্দ্রের কাজ পরিচালনা করতে হবে। এই শর্তটিও ঠিক নয় বলে তিনি মনে করেন। তাঁর মতে, ঢাকা শহরের অধিকাংশ কেন্দ্র বাড়ি ভাড়া নিয়ে পরিচালনা করতে হয়। ফলে বাড়িওয়ালার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেই কেন্দ্রটি অন্যত্র সরিয়ে নিতে হয়।
রোগীদের অভিযোগ: সম্প্রতি একটি নিরাময় কেন্দ্র থেকে বের হয়ে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক অভিযোগ করেন, তিনি যেখানে ছিলেন, সেখানে খাবারের মান খুবই নিম্নমানের। বাইরে থেকে কোনো খাবার কিনে খাওয়ার সুযোগ না থাকায় বাধ্য হয়েই ওই খাবার খেতে হয়েছে। খাবারের মান নিয়ে কোনো কথা বলার সুযোগ নেই। কথা বললেই শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়। অথচ থাকা-খাওয়ার জন্য একেকজন রোগীর পরিবারের কাছ থেকে প্রতি মাসে পাঁচ থেকে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়।
অপর এক ব্যক্তি জানান, তিনি যে কেন্দ্রে ছিলেন, ওই কেন্দ্রে রোগীদের চিকিত্সার জন্য কিছু মাদক ব্যবহারের অনুমতি ছিল। কর্তৃপক্ষ ওই মাদক বাইরের লোকজনের কাছে বিক্রি করে থাকে। এ ছাড়া পরিবারের কাছ থেকে যে পরিমাণ টাকা আদায় করা হয়, তার একাংশ রোগীর পেছনে ব্যয় করা হয় না।
নিবন্ধনকৃত প্রতিষ্ঠান: মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঢাকা মেট্রো উপ-অঞ্চলের তৈরি করা তালিকা অনুযায়ী যেসব প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন নিয়েছে সেগুলো হলো—মধ্য বাড্ডার সেতু মাদকাসক্তি পুনর্বাসন কেন্দ্র, এলিফ্যান্ট রোডে সেবা মাদকাসক্তি ও মানসিক রোগ চিকিত্সা কেন্দ্র, উত্তর গোড়ানে প্রশান্তি মাদকাসক্তি চিকিত্সায় মনোবিকাশ ও পুনর্বাসন সহায়তা কেন্দ্র, মোহাম্মদপুরে ক্রিয়া মাদকাসক্তি পুনর্বাসন কেন্দ্র, মিরপুরে ফেরা মাদকাসক্তি পুনর্বাসন কেন্দ্র, উত্তরায় লাইট হাউস ক্লিনিক, নিকুঞ্জ-২-এ দিশা মাদকাসক্তি পুনর্বাসন কেন্দ্র, গুলশান-২-এ মুক্তি মানসিক অ্যান্ড মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র লিমিটেড, ফার্মগেটে হাইটেক মডার্ন সাইকিয়াট্রিক হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেড ও বারিধারা আবাসিক এলাকায় প্রত্যয় মেডিকেল ক্লিনিক লিমিটেড।
অবৈধ প্রতিষ্ঠান: মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঢাকা মেট্রো উপ-অঞ্চল রাজধানীতে পরিচালিত অবৈধ কেন্দ্রের তালিকা তৈরি করেছে। এ তালিকায় যেসব কেন্দ্রের নাম স্থান পেয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে—মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডে বারাক, মনোচিকিত্সালয়, বাংলাদেশ ইয়ুথ ফাস্ট কনসার্স, মোহাম্মদী হাউজিংয়ে জীবনের ঠিকানা, ঢাকা উদ্যানে ফিউচার, জীবনের আলো, নিউ তরী, রায়ের বাজারে আশার আলো, আজিজ মহল্লায় নতুন জীবনে ফিরে আসা, উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরে রি-লাইফ, ৭ নম্বর সেক্টরে ফেরা, ৯ নম্বর সেক্টরে সেবা, ৪ নম্বর সেক্টরে গ্রিন লাইফ, ৩ নম্বর সেক্টরে দীপ জ্বেলে যাই, এলিফ্যান্ট রোডে নিউ মুক্তি ক্লিনিক, পশ্চিম যাত্রাবাড়ীতে নতুন জীবন মাদকাসক্তি ও চিকিত্সা পুনর্বাসন কেন্দ্র, হাদী মাদকতা হ্রাস কমপ্লেক্স, উত্তর যাত্রাবাড়ীতে দিশারী মাদকসক্তি চিকিত্সা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, উত্তর শাহজাহানপুরে নির্বাণ মাদকাসক্তি নিরাময় ক্লিনিক, মতিঝিলে হলি লাইফ মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র, বাড্ডার ছোলমাইদ পূর্ব পাড়ায় ক্লিন লাইফ, নবজন্ম, বাড্ডার এভারগ্রিন, পশ্চিম রামপুরায় সমর্পণ, রামপুরের ডিআইটি রোডে স্নেহ নীড়, খিলগাঁওয়ে আশার আলো, গ্রিন রোডে লাইফ অ্যান্ড লাইট হসপিটাল, ব্রেন অ্যান্ড লাইফ হসপিটাল, ব্রেন অ্যান্ড মাইন্ড হসপিটাল প্রাইভেট লিমিটেড, পশ্চিম পান্থপথে মনমিতা মানসিক হাসপাতাল, কাজীপাড়ায় রমজান ক্লিনিক, মিরপুর কাওলাপাড়ায় গোল্ডেন লাইফ, ফিউচার লাইফ, ফ্যায়িদ, নব স্বপ্ন পুনর্বাসন সমাজকল্যাণমূলক সংস্থা, পল্লবীতে ঢাকা মনোরোগ ক্লিনিক, লালবাগে মধুমিতা ক্রিয়া প্রকল্প ও ইস্কাটন গার্ডেন রোডে সারডা উল্লেখযোগ্য।
সূত্র: প্রথম আলো

বিক্রেতা বিহীন সততা স্টোরের শুভ উদ্বোধন

Detail
বদলগাছী (নওগাঁ)প্রতিনিধিনওগাঁর বদলগাছী উপজেলার সদরে অবস্থিত মডেল পাইলট হাইস্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে উক্ত স্কুলের উদ্যেগে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুরেশ সিংহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুম আলী বেগ বিক্রেতা বিহীন সততা স্টোরের শুভ উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা দূনিতী প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও মডেল পাইলট হাইস্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন ও বদলগাছী প্রেসক্লাবের সম্পাদক সানজাদ রয়েল সাগর। আরোও উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক মোজাফর হোসেন সহ স্কুলের সকল শিক্ষক/শিক্ষিকা ও ছাত্র-ছাত্রীরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বলেন এই দোকানে থাকবেনা কোন বিক্রেতা যে সব পণ্য দোকানে আছে তাঁর নীচে দাম লিখে দেওয়া আছে তোমাদের যে জিনিসটি দরকার তোমারা সেটি নিয়ে রেজিষ্টারে তোমার নাম লিখে দামটি সেখানে রেখে যেতে হবে এ জন্যই এ দোকানের নাম সততা স্টোর ।
তোমাদের সততার উপর চলবে এই দোকান। আর এই দোকানের মাধ্যমে তোমাদের সততারও পরীক্ষা হবে।
সূত্র: নিউজ অফ বাংলাদেশ

ক্যান্সার,কিডনী ও লিভার সিরসিস রোগে আক্রান্ত রোগীদের ৫০,০০০/- টাকার চেক প্রদান।

Detail


গত ২৩/০৮/২০১৭ , বদলগাছী উপজেলার নির্বাহী অফিসার  জনাব মাসুম আলী বেগ এর  অফিস কক্ষে ক্যান্সার,কিডনী ও লিভার সিরসিস রোগে আক্রান্ত বদলগাছী উপজেলার ৬ জন রোগীকে ৫০,০০০/- টাকার চেক তুলে দিচ্ছেন সুযোগ্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মাসুম আলী বেগ  ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার জনাব মো: তারিকুল ইসলাম ।

বদলগাছীতে সুযোগ্য ইউএনও দ্বয়কে একই সাথে স্বাগত উপহার ও বিদায়ী উপহার প্রদান করলো বদলগাছী উপজেলার উদ্যোক্তাগন

Detail


বদলগাছী উপজেলার সকল ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের পক্ষ হতে বদলগাছী ইউনিয়ন পরিষদের প্রধান উদ্যোগতা সবার প্রিয় সিপার ভাই সুযোগ্য ইউএনও জনাব হোসাইন শওকত সাহেবকে বিদায়ী উপহার প্রদান করেন। এবং একই সাথে  বদলগাছীতে আগত নতুন প্রিয় মুখ ইউএনও জনাব মো: মাসুম আলী বেগ সাহেবকে স্বাগত উপহার দিয়ে বরণ করে নেন। তখন সকলের উপস্থিতেই একটি ভালবাসায় পূর্ন মায়াঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

বিদ্যাসাগর ইন্সটিটিউটকে ভালবেসেছিলেন তিঁনি হৃদয় দিয়ে ----- রজত গোস্বামী

Detail


বিদ্যাসাগর ইন্সটিটিউটকে ভালবেসেছিলেন তিঁনি হৃদয় দিয়ে। তাই শত ব্যস্ততারর মাঝেও নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মাসুম আলী বেগ স্যারকে নিয়ে বিদ্যাসাগর ইন্সটিটিউটের ছাত্র/ছাত্রীদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন। তিঁনি আমাদের শ্রদ্ধেয় বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মো: হুসাইন শওকত স্যার।বিদ্যাসাগর ইন্সটিটিউটের সকলেই আপনাকে মনে রাখবে স্যার। আপনার সুস্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু ও মংগল কামনা করি।

বদলগাছী উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বিশেষ উপহার

Detail

বদলগাছী উপজেলার বিদায়ী সকলের প্রিয় উপজেলা নির্বাহী জনাব মোঃ হুসাইন শওকত স্যার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের জন্য টাই হস্তান্তর করেছেন। সকল প্রধান শিক্ষকদের সংশ্লিষ্ট AUEO গনের নিকট থেকে গ্রহনের জন্য অনুরোধ করা হলো।

আবার হবে তো দেখা এ দেখাই শেষ দেখা নয়তো!

Detail
আবার হবে তো দেখা এ দেখাই শেষ দেখা নয়তো! এক্ষণটা বিদায়ের :( । বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সাদা মনের মানুষ Hossain Sawkat স্যার আমাদের উপজেলা হতে যশোহর পদোন্নতি জনিত কারণে বদলী হয়েছেন।
আমাদের সকল ভালোকাজে ছায়ার মতো পাশে পেয়েছি স্যারকে। তাঁর চলে যাওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টের। তবু এ চলে যাওয়া যেহেতু আবশ্যকই তাই আমরা আজ সবাই মিলে বিদায়ী সম্মাননা স্মারক তুলে দিলাম তাঁকে।
স্যার আপনার জন্য আলোর সন্ধানে'র শুভকামনা রইলো। সবসময় ভালো থাকবেন এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।
"শুভ শক্তির জয় হোক"
গুনগ্রাহী:
আলোর সন্ধানের সদস্যবৃন্দ

সকলের প্রিয় শিক্ষা অনুরাগী সাদামনের এই মানুষটা বদলগাছীবাসির মায়া কাটিয়ে চলে যাবেন

Detail
আজ যোহর নামাজের পর অফিসার্স ক্লাব, বদলগাছী , নওগাঁ কর্তৃক (অফিসার্স ক্লাব ভবনে) আয়োজিত বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ হুসাইন শওকত স্যারের ফেয়ার ওয়েল অনুষ্ঠানে সকল উপদেষ্টা ও অফিসারবৃন্দ আমন্ত্রিত ।সকলের প্রিয় শিক্ষা অনুরাগী সাদামনের এই মানুষটা বদলগাছীবাসির মায়া কাটিয়ে চলে যাবেন। রেখে যাবেন স্মৃতি।
বদলগাছীবাসির  অকৃত্রিম ভালবাসা ও কৃতজ্ঞতা রইলো এই মানুষটির প্রতি যার অকৃত্রিম ভালবাসা আর কর্মগুনে সত্যি আচ্ছন্ন হয়ে ছিল বদলগাছির আপামর জনসাধারণ।

বেকার যুবমহিলাদের ব্লক ও বাটিক প্রিন্টিং প্রশিক্ষণ

Detail
গণপ্রজাতন্ত্রী_বাংলাদেশ_সরকার_ও_জাইকার_অর্থায়নে_বেকার_যুবমহিলাদের_ব্লক_ও_বাটিক_প্রিন্টিং_প্রশিক্ষণ:-- *** আজ থেকে জেলা পরিষদ ডাক বাংলো মিলনায়তন, বদলগাছীতে GOB ও JICAর অর্থায়নে বেকার যুব মহিলাদের ব্লক ও বাটিক প্রিন্টিং প্রশিক্ষণ কোর্সের শুভ উদ্বোধন হল । ইউএনও জনাব মোঃ হুসাইন শওকত স্যারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস শাম্মী আখতার, জাইকার উপজেলা ফ্যাসিলিটেটর জনাব হাসিবুল ইসলাম, প্রশিক্ষক মিসেস সামসী আরা, মিসেস বিলকিস পিয়ারা বানু ও মিসেস মাকসুদা বেগম ।

সবার_উপর_মানুষ_সত্য

Detail
সবার_উপর_মানুষ_সত্য গত Valentines day তে বদলগাছীর পিন্ডিরা গ্রামের এই মা হারা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ে সাবিনা ও তার ভূমিহীন, গৃহহীন, নিঃস্ব বাবা আব্দুস সাত্তারের ভালোবাসা দেখে fb-তে কিছু কথা লিখেছিলাম যা ইউএনও জনাব হুসাইন শওকত স্যারের হৃদয় স্পর্শ করেছিল । তারই ধারাবাহিকতায় আজ অসহায় বাবা-মেয়ের হাতে একটি চার্জার ভ্যান তুলে দিলেন তিনি । ইতোমধ্যে মেয়েটিকে প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করেছেন সমাজসেবা অফিসার ও আরেক সাদামনের মানুষ সমাজসেবা অফিসের শ্রী রজত গোস্বামী। বৃদ্ধের বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থাও হচ্ছে । ধন্য মানবতা, ধন্য বিবেকবান সাদামনের মানুষ ইউএনও স্যার। ...... একটু ভালো করে ছবি গুলো দেখুন .......... বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েটির চোখে যে কৃতজ্ঞতার প্রতিচ্ছবি, জীবন সায়াহ্নে উপনীত অসহায়, নিঃস্ব বৃদ্ধ মানুষটির বুক থেকে পাথর নেমে যাওয়ার যে নির্ভার মুখচ্ছবি ....... তা আপনি কোন নিক্তিতে পরিমাপ করবেন ? কেনা কি যাবে- কোটি টাকা দিয়ে বাবা-মেয়ের এই মুহুর্তের সুখ গুলো?

এরা সবাই ঝাড়ঘরিয়া সপ্রাবি'র ৪র্থ শ্রেণির মেধাবী ছাত্র/ছাত্রী। এই বছরে (গতকাল পর্যন্ত ) তারা একদিনও স্কুল কামাই করেনি

Detail
এরা সবাই ঝাড়ঘরিয়া সপ্রাবি'র ৪র্থ শ্রেণির মেধাবী ছাত্র/ছাত্রী। এই বছরে (গতকাল পর্যন্ত ) তারা একদিনও স্কুল কামাই করেনি। অনন্য এই কৃতিত্বের জন্য তাদেরকে পুরস্কৃত করলেন শিক্ষানূরাগী ইউএনও জনাব মোঃ হুসাইন শওকত স্যার ।



কাস্টগাড়ী আশ্রয়ণ প্রকল্পে পুনর্বাসিত প্রাপ্তবয়স্কদের ১৪ দিন মেয়াদী পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

Detail
নহেলা - কাস্টগাড়ী আশ্রয়ণ প্রকল্পে পুনর্বাসিত প্রাপ্তবয়স্কদের ১৪ দিন মেয়াদী পেশাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান । প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ হুসাইন শওকত স্যার, ইউএনও, বদলগাছী, নওগাঁ । অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনাব মোঃ আব্দুর রহমান, চেয়ারম্যান, মথুরাপুর ইউপি ।


বড় বোন ফারজানা ক্লাসে, বাইরে ঝুম বৃষ্টি

Detail
বড় বোন ফারজানা ক্লাসে, বাইরে ঝুম বৃষ্টি। টিফিন টাইমে বাসায় যেতে পারেনি ফারজানা, তাতে কি, ছোট ভাই নোমান আছে না? বৃষ্টিতে ভিজে-নেয়ে বড় বোনকে টিফিন পৌঁছিয়ে দিয়ে তার পর নিশ্চিন্ত হলো ছোট ভাই নোমান । এই আমার সোনার বাংলার সোনালী নতুন প্রজন্ম .... এরাই এই দেশকে এগিয়ে নেবে.... অন্যের বিপদে বা প্রয়োজনে বাড়িয়ে দেবে সহানুভূতির হাত । ছবিটি আজ ঝাড়ঘরিয়া সপ্রাবি তে শিক্ষানূরাগী ইউএনও জনাব হুসাইন শওকত স্যারের সাথে পরিদর্শন কালে আকস্মিকভাবে তোলা ।

Lovely Moments of UNO Badalgachi.

Detail
 With cute daughter Samara.

এসএসসি শিক্ষাবৃত্তি ২০১৭ এর বিস্তারিত তথ্য

Detail
শিক্ষা বৃত্তির কর্মসূচীর আওতায় দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত মেধাবী ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বৃত্তি প্রদান করে আসছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ।
 সেই ধারাবাহিকতায় ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ২০১৭ সালের এসএসসি/ সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মেধাবি ও শিক্ষাক্ষেত্রে আর্থিক সহায়তা প্রত্যাশী  শিক্ষার্থীদেরকে বৃত্তি প্রদান করবে ।

বৃত্তির পরিমাণ ও সময়কালঃ

শিক্ষার স্তরঃ এইচ.এস.সি.

সময়কালঃ ২ বছর

মাসিক বৃত্তিঃ ২,০০০ টাকা
বার্ষিক অনুদানঃ পাঠ্য উপকরণের জন্য এককালীন ২৫০০ টাকা ও পোশাক পরিচ্ছদের জন্য ১,০০০ টাকা

বৃত্তির জন্যে আবেদনের যোগ্যতাঃ

  • সিটি কর্পোরেশন এলাকার অন্তর্গত স্কুল/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্যঃ ন্যূনতম জিপিএ ৫.০০ (চতুর্থ বিষয় ব্যতিত, সকল গ্রুপের জন্য)
  • জেলা শহর এলাকার অন্তর্গত স্কুল/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্যঃ ন্যূনতম জিপিএ ৫.০০ (চতুর্থ বিষয় ব্যতিত, সকল গ্রুপের জন্য)
  • গ্রামীণ অনগ্রসর অঞ্চলের স্কুল/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্যঃ ন্যূনতম জিপিএ ৪.৮৩ (চতুর্থ বিষয় ব্যতিত, সকল গ্রুপের জন্য)

আবেদনের নিয়ম ও শর্তাবলীঃ

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক এর শিক্ষা বৃত্তি এর আবেদন এর প্রক্রিয়া গতবারের মত এবারো অনলাইনে করা হয়েছে। ফলে সরাসরি কোন আবেদন গ্রহনযোগ্য হবে না।  অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া জানতে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ক্লিক করুন
এই ঠিকানায় গিয়ে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। আবেদন ফরম এর সাথে যা যা সংযুক্ত করতে হবে সেগুলো হলোঃ
  • আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবির স্ক্যান কপি।
  • আবেদনকারীর পিতা মাতার পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবির স্ক্যান কপি।
  • এসএসসি/সমমান পরীক্ষার নম্বর পত্র ও প্রশংসা পত্রের স্ক্যান কপি।

বৃত্তির অন্যান্য নীতিমালাঃ

  • যে সকল ছাত্র-ছাত্রী অন্য কোন উৎস থেকে বৃত্তি পাচ্ছেন, তাঁরা ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বৃত্তির জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।
  • গ্রামীণ অনগ্রসর অঞ্চলে অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যে বৃত্তির শতকরা ৯০ ভাগ নির্ধারিত থাকবে এবং মোট বৃত্তির শতকরা ৫০ ভাগ ছাত্রীদের প্রদান করা হবে।

বৃত্তি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তারিখঃ

আবেদন শুরুর তারিখঃ ০৭ মে ২০১৭
আবেদনের শেষ তারিখঃ ০৫ জুন ২০১৭
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃতদের তালিকা প্রকাশঃ ০৭ জুন ২০১৭
প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃতদের সকল কাগজপত্রের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ডাচ্-বাংলা ব্যাংক এর যে কোন শাখা অথবা মোবাইল ব্যাংকিং অফিসে উপস্থিত হওয়ার তারিখঃ ০৮ জুন ২০১৭ – ২০ জুন ২০১৭

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক এসএসসি শিক্ষাবৃত্তি ২০১৭ এর বিজ্ঞপ্তি

http://riffhold.com/1VHl

 


যা জানা প্রয়োজন এস.এস.সির পর পলিটেকনিকে ভর্তির জন্য

Detail

যারা এসএসসি/ দাখিল/ ভোকেশনাল/ সমমানের পরীক্ষা দিয়েছেন। তারা পাশ করার পর কোন না কোন কলেজ/ মাদ্রাসা/ পলিটেকনিকে ভর্তি হবেন। যদি আপনি পলিটেকনিকে অর্থাৎ ডিপ্লোমাইনইঞ্জিনিয়ারিং ,মেরিন, টেক্সটাইল , গ্লাস এন্ড সিরামিক্‌স এ পড়াশুনা করতে চান তাহলে আপনার জন্য এইটি পোস্টটি ।
এস.এস.সি পরীক্ষার পর প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পদ্ধতির কারণে শিক্ষাগ্রহণ অনেকটাই প্রতিযোগিতামূলক হয়ে পড়েছে। অনেক শিক্ষার্থীই এই প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে পড়াশোনায় এক ধরনের হতাশায় থাকেন । তবে চাইলে এস.এস.সি  পরীক্ষার পর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে যে কোনো ডিপ্লোমা কোর্সেও ভর্তি হয়ে বদলে দিতে পারেন আপনার ভবিষ্যত জীবন। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বেশ কিছু কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানে যে কোর্সটি করতে খরচ হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা সেই কোর্সটি কোনো প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে করতে কমপক্ষে  খরচ পড়ে ২ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ টাকা। সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে নির্ধারিত ফলাফল ও পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় তবে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানসমূহে নিজেদের ইচ্ছামতো শিক্ষার্থী ভর্তি করে থাকে। তবে প্রাইভেট কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে যাদের খুবই উন্নতমানের শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে । সরকারি বা বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানই বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক  নিয়ন্ত্রন করা  হয় এবং পরীক্ষা শেষে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড  কর্তৃক সনদপত্র প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যেসকল কোর্স পরিচালনা করে থাকে তার মধ্যে রয়েছে –
ডিপ্লোমা  ইন  ইঞ্জিনিয়ারিং
এই কোর্সের মেয়াদ ৪ বছর এবং ৮ সেমিস্টারে বিভক্ত। প্রতি সেমিস্টারের মেয়াদ ৬ মাস।ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন কোর্সে দুই শিফটে ভর্তি করা হয়। যেসকল শিক্ষার্থী বর্তমান বছরে উত্তীর্ণ হয়েছেন এবং পূর্ববর্তী ২ বছরে উত্তীর্ণ হয়েছেন তারা ১ম ও ২য়  শিফটে আবেদন করতে পারেন।
কোর্সের বিষয় ও আসনসংখ্যাঃ
সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা এই ইনস্টিটিউটগুলোতে যেসব বিষয়ে পড়নো হয়, সেগুলো হলো: ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিকস,কেমিক্যাল, সিভিল, সিভিল (উড), কম্পিউটার,আর্কিটেকচার, অটোমোবাইল,  ফুড, পাওয়ার, মেকানিক্যাল, প্রিন্টিং, গ্রাফিক ডিজাইন, গ্লাস, সিরামিক, ইলেকট্রো-মেডিক্যাল, মেরিন, শিপবিল্ডিং, সার্ভেয়িং, মেকাটনিকস, কনস্ট্রাকশন, টেলিকমিউনিকেশন, এনভায়রনমেন্টাল, রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, আর্কিটেকচার অ্যান্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন, গার্মেন্টস ডিজাইন অ্যান্ড প্যাটার্ন মেকিং, ইনস্ট্রুমেন্টেশন অ্যান্ড প্রসেস কন্ট্রোল, ডেটা টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং, এয়ার ক্রাফট মেইনটেন্যান্সে ইঞ্জিনিয়ারিং (এরোস্পেস), এয়ার ক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিং (এভিয়োনিকস) এবং মাইনিং অ্যান্ড মাইন সার্ভে টেকনোলজি।আসনসংখ্যা ৪০ থেকে ১৬০টি পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে অতিরিক্ত আরও ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়।

ভর্তি পরীক্ষার নিয়ামাবলীঃ
কারিগরি বোর্র্ডের নির্ধারিত সময় সীমাতে আপনাকে ভর্তি পরীক্ষার জন্য অনলাইনে ফরম ফিলাপ করে আবেদন করতে হবে। এসএসসি ফলাফল দেওয়ার আগ থেকে বিভিন্ন পলিটেকনিক ভর্তি কোচিংয়ে ভর্তি হতে পারেন। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ শিক্ষকরা আপনাকে ভর্তি পরীক্ষার উপযোগী করে গড়ে তুলবে। আর ভর্তি পরীক্ষার ফরম ফিলাপের দায়িত্বটা কোচিং সেন্টারের দায়িত্বশীলরা নিয়ে নিবে। এ জন্য এটি দেখতে পারেন
তাছাড়া ফরম ফিলাপ আপনি নিজে, সাইবার ক্যাফে, বিভিন্ন পলিটেকনিকের আশে পাশের যে দোকান গুলোতে ভর্তি পরীক্ষার ফরম ফিলাপ করা হয়, সেগুলো থেকে ফরম ফিলাপ সম্পন্ন করতে পারেন অথবা ডিপ্লোমা পড়ুয়া বড় ভাইদের থেকে হেল্প নিতে পারেন।
অনলাইনে ফরম পূরণ করার সময়ে ফর্মে আপনাকে টেকনোলজি বাছাই করার সুবিধা দেওয়া হবে। আপনি যে কোন তিনটি টেকনোলজির নাম লিখতে পারেন (তার বেশীও দেওয়া যায়)। যে পলিটেকনিক কলেজে ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করতে চান সেই পলিটেকনিক কলেজের নাম সিলেক্ট করে দিতে হবে। আর যে কলেজের কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে চান সে কলেজের (ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র) নাম সিলেক্ট করে দিতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ আপনি ঢাকা সরকারী পলিটেকনিকে পড়তে চান তাই নাম সিলেক্ট করলেন ‘ঢাকা পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট’। কিন্তু বর্তমানে আপনি থাকেন চট্টগ্রামে। ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আপনাকে ঢাকা যেতে হবে না। ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র ‘চট্টগ্রামের পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট’ সিলেক্ট করলেই হবে। আপনি চট্টগামে বসে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। তারপর নির্ধারিত ফি টেলিটক সিমের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। প্রবেশ পত্র, পরীক্ষার তারিখ, কেন্দ্র, ভর্তি পরীক্ষার সিট নাম্বার অনলাইনে ফরম ফিলাপের সময় দেওয়া নিজের মোবাইল নাম্বারে এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার আগে জানিয়ে দিবে।

লিখিত পরীক্ষার বিষয়সমূহঃ
৫০ নম্বরের লিখিত ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়। লিখিত পরীক্ষায় বাংলা ও ইংরেজি থেকে ১৫ নম্বর, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন থেকে ১৫ নম্বর, গণিত থেকে ১৫ নম্বর এবং সাধারণ জ্ঞান ৫ নম্বরের প্রশ্ন থাকে। এসএসসির জিপিএকে ১০ দ্বারা গুণ করে প্রাপ্ত স্কোরের সঙ্গে লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর যোগ করে মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হয়।
বৃত্তিসুবিধাঃ ডিপ্লোমাইনইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া মেধাবী, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি মাসে ৮০০টাকা হারে (অর্থাৎ  প্রতি সেমিষ্টারে ৪৮০০ টাকা করে মোট ৩৮৪০০ টাকা) বিশ্ব ব্যাংকের পক্ষ থেকে বৃত্তি দেওয়া হয় সেমিষ্টার সমাপনী পরীক্ষায় ভালো ফলা ফল করলে কলেজের পক্ষ থেকে প্রতি সেমিষ্টারে ৯০০টাকা হারে ( মোট ৯০০*=৭২০০ টাকা) বৃত্তি দিবে আর ডিপ্লোমা ভর্তি পরীক্ষায় ১ম মেরিট লিস্টে আসা ৬০% শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে এককালীন ৯০০ টাকা বৃত্তির সুযোগ
ক্যারিয়ারঃ
পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলো থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সম্পন্ন করে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য ভর্তি হওয়ার সুযোগ আছে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), অ্যাসোসিয়েট মেম্বার অব দ্য ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্সসহ (এএমআইই) দেশের বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ ছাড়া রয়েছে বিদেশেও পড়াশোনার সুযোগ। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য বাড়ছে কর্মক্ষেত্র ও কাজের পরিধি। বাংলাদেশের বিভিন্ন শিল্পকারখানায় কর্মরত ইঞ্জিনিয়ারদের বেশির ভাগই ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। প্রতিবছর বেশ কিছু ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার চাকরির সুবাদে যাচ্ছেন ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয়।
সব মিলিয়ে বলতে হলে ডিপ্লোমা কোর্স শেষে আপনি কিছু না কিছু একটা করতে পারবেন
সর্বশেষে বলতে চাই দরিদ্র, মেধাবী শিক্ষার্থীরা কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ জাতির কল্যানে অগ্রণী ভুমিকা রাখুক এই প্রত্যাশায়   ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র আঃ রাজ্জাক ।
বিষয়ভিত্তিক কিছু কোর্সের বিবরণ

ডিপ্লোমা ইন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংঃ
নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি নামক প্রতিষ্ঠানটি থেকেই শুধুমাত্র এই কোর্সটি করা যায়। মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সটি দুই ভাগে বিভক্ত। একটি মেরিন টেকনোলজি ও অন্যটি শিপবিল্ডিং টেকনোলজি। এ দুটি কোর্সেরই মেয়াদ চার বছর। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী এখানেও মুক্তিযোদ্ধা এবং উপজাতীয় কোটা সংরক্ষিত রয়েছে। ডিপ্লোমা পর্যায়ে দুটি কোর্সে মোট ৪৮ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়। কোর্স শেষে উপসহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কোনো প্রতিষ্ঠানে যোগ দিলে শুরুতে বেতন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা হয়। সিঙ্গাপুর ও দুবাইয়ে এ কোর্স করা ছাত্রদের ভালো চাহিদা রয়েছে।
ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংঃ
টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে চারটি বিভাগে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স করা যায়। বিভাগগুলো হচ্ছে ইয়ার্ন ম্যানুফ্যাকচারিং (এখানে তুলা ও পাটের আঁশ থেকে সুতা তৈরি করা শেখানো হয়), ফেব্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং (সুতা থেকে কাপড় তৈরি), ওয়েট প্রসেসিং (রং করা) ও ক্লথিং টেকনোলজি (গার্মেন্টস)। দেশে ছয়টি সরকারি এবং ১৮টি বেসরকারি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট রয়েছে। ভর্তির জন্য কোনো লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হয় না। সর্বোচ্চ জিপিএ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মেধাতালিকার ভিত্তিতে চারটি ডিপার্টমেন্টে ২০ জন করে মোট ৮০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। মেয়ে, আদিবাসী, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রবাসী সন্তানদের জন্য আলাদা কোটা রয়েছে। কোর্স শেষে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিএসসি সম্পন্ন করা যায়। চাকরি ক্ষেত্রে সুতা প্রস্তুতকারী কল-কারখানা বা গার্মেন্টে চাকরির সুযোগ রয়েছে। এ পেশায় শুরুতে বেতন ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা হতে পারে। সরকারিভাবে দিনাজপুর, টাঙ্গাইল ও বরিশালে ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট রয়েছে। সরকারি ছাড়াও বর্তমানে বেশ কিছু বেসরকারি ইনস্টিটিউট টেক্সটাইল টেকনোলজি চালু করেছে।
বাংলাদেশ কারিগরি  শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট: www.bteb.gov.bd

ঘরে বসেই নিয়ে নিন বাংলাদেশের সকল বোর্ডের এস.এস.সি রেজাল্ট ২০১৭ এর ফলাফল

Detail

http://riffhold.com/1DWb


How to Get SSC Result 2017 Through Mobile SMS
For your SSC Result 2016 at first go to your mobile SMS option & type SSC/Dakhil <space> First three letters of your Board name <space> Roll no <space> 2017 and send to 16222 For Example: SSC<Space>DHA<Space>153660<Space>2017 send to 16222

Give the roll, Code name of board and year, and a message will follow in go back which will contain the full results of the exam. To find the code name of board name, see the following list below:

Bangladesh Education Board Code Name
DHA code name of Dhaka Board
BAR code name of Barisal Board
SYL code name of Sylhet Board
COM code name of Comilla Board
CHI code name of Chittagong Board
RAJ code name of Rajshahi Board
JES code name of Jessore   Board
DIN code name of Dinajpur Board
MAD code name of Madrasah Board
How to Get SSC Result 2017 Through Interne
For your SSC Exam Result 2017 at first visit the official website of education board of Bangladesh. www.educationboardresults.gov.bd/ and provide your roll number, name of your board and year in the following way and get your SSC exam result 2017 in full details.
  1. Name of Examination: HSC/Dakhil/Vocational
  2.  Passing Year: 2017
  3. Board: Your Board (Dhaka/Dinajpur/Rajshahi etc.)
  4. Roll: your Roll  (like: 123123789)
  5. 7+7: This is number  web verification it is dynamic and changes in every refresh.
  6. Finally Click on “Submit Bottom”
 Also, here is the web address of All Education Board Bangladesh
http://www.educationboardresults.gov.bd/regular/index.php
সরাসরি রেজাল্ট পেতে উপরে See Results লেখা সবুজ বাটনে ক্লিক করুন, তারপর ৫ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন, তারপর উপরে ডানপাশে SKIP AD লেখা হলুদ বাটনে ক্লিক করুন। আর সহজেই নিয়ে নিন আপনার রেজাল্ট, কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই।

প্রযুক্তির ছোয়ায় ডাক্তারের সিরিয়াল পাওয়া অতি সহজ

Detail
ডাক্তারের সিরিয়াল পাওয়া যেন আজকাল আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া! আমাদের দেশের সাধারন মানুষ উন্নতমানের চিকিৎসা থেকে বরাবরই বঞ্চিত। যাদের সামর্থ্য নেই ভাল ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ার তাদের জীবন কাটে ভুল চিকিৎসা আর নানান শারীরিক জটিলতায় ভুগতে ভুগতে। আর যাদের সামর্থ্য আছে তারাও যে খুব সহজে একজন ভালো ডাক্তার দেখাতে পারবেন, তা কিন্তু নয়! বাংলাদেশে ভালো ডাক্তার আছেন হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন। তাদের বেশিরভাগের সিরিয়াল পেতে মাস খানেক লেগে যায়! তাহলে ডাক্তার কীভাবে দেখাবেন বলুন?

এই নিয়ে একটা প্রচলিত জোকস শোনাই আপনাদের ঃ

একবার এক ভদ্রমহিলা একজন খুব ব্যস্ত ডাক্তারকে ফোন করে বললেন, “ডাক্তার সাহেব, আমার খুব অসুখ। আপনাকে দেখাতে চাচ্ছি। আপনার সিরিয়াল কি পাওয়া যাবে?”

ডাক্তার বললেন, “এ সপ্তাহে কোন সিরিয়াল খালি নাই, আপনি সামনের সপ্তাহে আসেন”।

মহিলা আতংকিত কণ্ঠে বললেন, “ডাক্তার সাহেব! আমি তো খুব অসুস্থ, এর মধ্যে যদি মারা যাই?”

ডাক্তার নির্লিপ্ত কণ্ঠে বলে দিলেন, “ও নিয়ে আপনাকে টেনশন করতে হবে না। চাইলে আপনি যেকোনো সময় সিরিয়াল ক্যানসেল করতে পারেন”।



কি হলো? জোকস শুনে হাসছেন আপনি? আরে ভাই, এটা এখন আর শুধু জোকস নেই! এটা বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চরম বাস্তবতা! আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার এমনই বেহাল দশা যে এই ধরনের জোকস শুনে না হেসে আমাদের কাঁদা উচিত। আপনি অসুস্থ? চিকিৎসা প্রয়োজন? ভালো ডাক্তার দেখাবেন? জানেন কত দিন লাগবে ডাক্তারের সিরিয়াল পেতে? ততদিনে আপনার কি অবস্থা হতে পারে?

আমার জীবনের একটা বাস্তব উদাহারন দেই –

এলিফ্যান্ট রোডে একটা ফার্মেসিতে গিয়েছি ওষুধ কিনবো বলে। সেখানে এক আপুর সাথে অনেক দিন পরে দেখা। মাধুরী আপু, হাজব্যান্ডের সাথে থাকেন বনশ্রীতে, এখানে মায়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন। আপু প্রেসার চেক করালেন ফার্মেসি থেকে। প্রেসার খুব কম।

আমি জিজ্ঞেস করলাম- “আপু অসুস্থ নাকি আপনি?’

মাধুরী আপু একটু হেসে জবাব দিলেন – “হ্যা, একটু তো অসুস্থ”।

কথায় কথায় জানলাম মাধুরী আপু তিন মাসের প্রেগনেন্ট। সব কিছু ঠিকই ছিল, হঠাৎ করে কিছুদিন যাবত প্রেসার খুব আপ ডাউন করছে।

আমি আপুকে বললাম, “আপু ডাক্তার দেখান, এই সময়ে প্রেসার আপ ডাউন করা তো খুব খারাপ”।

আপু বললেন, “ডাক্তারের সিরিয়াল দিয়েছি। আগামি সপ্তাহে দেখাতে পারব”।

মাধুরী আপুর কথা শুনে আমি হতবাক হয়ে গেলাম! বলছেন কি উনি? উনি প্রেগনেন্ট, প্রেসার আপ ডাউন করছে খুব। যেকোনো মুহূর্তে ক্রিটিক্যাল প্রবলেম হতে পারে। অথচ ডাক্তারের সিরিয়ালের জন্য এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে?

আপু জানালেন তিনি ইবনে সিনার কোন এক বিখ্যাত গাইনি ডাক্তারকে দেখান। সেই ডাক্তার এর সিরিয়াল পাওয়া খুব কঠিন। ১০ – ১২ দিন আগে সিরিয়াল পাওয়া যায় না। আর এই সব ক্রিটিক্যাল সমস্যায় একটু নাম করা অভিজ্ঞ ডাক্তার দেখানোই ভাল। অনভিজ্ঞ বা নতুন ডাক্তার দেখাতে গেলে চিকিৎসার উল্টো রিএকশন হতে পারে। কথাটা শুনে আমার খুব খারাপ লাগল। অসুখে ডাক্তার দেখানোর জন্য ১০ দিন অপেক্ষা করতে হবে! এই ১০ দিনের মধ্যে রোগীর যেকোনো বড় ধরণের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে!

ব্যাপারটা নিয়ে আমি অনেক চিন্তা করলাম এরপর। এভাবে চলতে থাকলে তো ডাক্তারের কাছে পৌঁছানোর আগেই অনেক রোগী মারা যেতে পারে। এই সমস্যার একটা সমধান হওয়া প্রয়োজন। দু একজন বন্ধুর সাথে কথা বলে জানলাম যে ইতিমধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে! সেটা হচ্ছে – অনলাইনে সিরিয়াল দেওয়ার সুযোগ! বড় বড় ডাক্তাররা অনলাইনে বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা ভিত্তিক ওয়েবসাইট থেকে সিরিয়াল নিয়ে থাকেন ইমার্জেন্সি ক্ষেত্রে। ডাক্তারের সিরিয়াল যত লম্বাই হোক না কেন, আপনার জন্য অনলাইনে সিরিয়াল দিয়ে দুই তিন দিনের মধ্যে ডাক্তারকে দেখানোর সুযোগ রয়েছে। তাতে সামান্য কিছু এক্সট্রা ফি রাখছে অনলাইন সাইটগুলো। এক বন্ধু আমাকে ইহাসপাতাল সাইটের (http://www.ehaspatal.com) কথা বললেন। এই সাইটটা বানিয়েছে কিছু নিবেদিত প্রান মানুষ যাদের উদ্দেশ্য সাধারন মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়া।

আমি ওদের সাইট ঘুরে কাস্টোমার কেয়ার এর নাম্বারটা নিলাম। তারপর নাম্বারটা পাঠিয়ে দিলাম মাধুরী আপুকে। মাধুরী আপু আমার দেয়া নাম্বারে ফোন দিয়ে স্বাস্থ্য পরামর্শ চাইলেন। ওদের বিশেষজ্ঞরা আপুকে এই অবস্থায় বেশ কিছু দরকারি স্বাস্থ্য পরামর্শ দিলেন, এবং দু দিনের মধ্যেই একজন বিখ্যাত গাইনি ডাক্তারের সিরিয়াল এর ব্যবস্থা করে দিলেন। মাত্র ১০০ টাকা এক্সট্রা চার্জ দিতে হলো। এবং ওদের ভালো সার্ভিস পেয়ে আপু নিজেও হতবাক! এখন উনি পরিচিত অনেক লোককে এভাবে অনলাইনে বা ফোন করে সিরিয়াল দিতে উৎসাহিত করছেন।

এই তো গেল কেবল ডাক্তারের সিরিয়াল দেওয়ার কথা। কিন্তু বাংলাদেশে এই মুহূর্তে কতগুলো স্বাস্থ্য পরামর্শ মুলক ওয়েবসাইট আছে জানেন? সংখ্যাটা ১০০ এর কাছাকাছি হবে। বেশিও হতে পারে। এরা প্রতিমুহূর্তে স্বাস্থ্য ভাল রাখার নানান উপায় নিয়ে আপডেট দিচ্ছে। deho.tv কিংবা dehobarta.com এর নাম তো শুনেছেন। এইছাড়াও বেশ কিছু ফেসবুক পেইজ আছে এই নিয়ে রেগুলার টিউন করে। তাছাড়া অনেক হসপিটাল ডিরেক্টরি আছে যেখানে হাসপাতাল নিয়ে দরকারি তথ্য পাবেন। বেশ কিছু ইকমার্স সাইট হয়েছে যেখান থেকে অনলাইনে ওষুধ অর্ডার করলে ভালো মানের ঔষধ পৌঁছে দেবে আপনার বাড়িতে! এভাবে প্রযুক্তি আমাদের স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন সমস্যার একের পর এক সমাধান নিয়ে এগিয়ে আসছে।

এই ব্যাপারটা নিঃসন্দেহে স্বাস্থ্যসেবা খাতের ডিজিটালাইজেশন এর ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকরী ভুমিকা রাখবে। শুধু ehaspatal নয়। আরও বেশ কিছু ওয়েবসাইট এই ক্ষেত্রে কাজ শুরু করেছে। যেমনঃ Doctorolla.com, healthprior21, rx71.co, doctorsbd.com, healthcarebd.com, qtaker.com ইত্যাদি। এদের মধ্যে আমি ehaspatal আর rx21 কে এগিয়ে রাখব এই কারণে যে তারা ডাক্তারের সিরিয়াল এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ, রোগ নির্ণয়, স্বাস্থ্য টিপস ইত্যাদি বিনামূল্যে দিচ্ছে। তাছাড়া অনেক সাইটের আছে হাসপাতাল ডিরেক্টরি যেখানে দেশের বিভিন্ন স্থানের হাসপাতালের বিস্তারিত ঠিকানা, খরচাপাতি এবং সুযোগ-সুবিধার বিবরন ইত্যাদি দেওয়া আছে। আর এদিকে ehaspatal তো আরও এগিয়ে। তাদের আছে ঔষধ সরবরাহ করার অনলাইন সার্ভিস। অনলাইনে যেকোনো জরুরী ঔষধ অর্ডার করলে পৌঁছে যাবে আপনার বাসায়।

এখন অনেকেই মনে করতে পারেন যে, এদের সার্ভিস তো সম্পূর্ণ ফ্রি না! টাকা নিচ্ছে কাজের বদলে। আরে ভাই, বাংলাদেশে বাস করে কি নিজের লাভের কথা না ভেবে কার উপকার করার উপায় আছে? চাকরি বাকরি বিজনেস ফেলে যদি আমি সমাজের সেবা করতে থাকি তাহলে পেট চলবে? যদিও এই ওয়েবসাইটগুলো মূলত হেলথ সার্ভিস বিজনেস করছে, কিন্তু এখানে বিজনেসের মাধ্যমে তারা সমাজের উপকার করছে। এটা সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আমি একটা কাজ করছি, পয়সা উপার্জন করছি এবং আমার কাজের ফলে মানুষ উপকার পাচ্ছে। এর চেয়ে মহান বিজনেস আর কি হতে পারে?

আশা করবো এর পর থেকে আপনারা যেকোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যায় এইসব অনলাইন সাইটগুলর সাহায্য নেবেন। আমরা রেগুলার সাইটগুলো ভিজিট করলে এবং তাদের সার্ভিস নিলে তারা আরও বেশি উৎসাহী হবে এই কাজে ডেডিকেশন বাড়াতে। এবং এর ফলে আমাদের স্বাস্থ্যগত সমস্যার

পড়া লেখায় শিশুর আকর্ষন তৈরিতে করনীয়।

Detail

  ভালো রেজাল্টের জন্য অনেক শিশুর বাবা-মা নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করেন।  শারীরিক শাস্তি কিংবা মানসিক চাপ দেওয়া যদিও কোনো শিশুর জন্যই ভালো নয়। তাহলে শিশুর পড়াশোনার উন্নতির উপায় কি? এ লেখায় রয়েছে কিছু দারুণ উপায়, যা বাস্তবে মেনে চলতে পারলে সহজেই শিশুর পড়াশোনায় উন্নতি করা সম্ভব হবে।
১. আনন্দের মাধ্যমে শিক্ষা
আপনার শিশু কোন উপায়ে শিক্ষা গ্রহণে সবচেয়ে আনন্দ পায় তা জেনে নিন। অনেক শিশুই শিক্ষার পাশাপাশি গান, নাচ, অঙ্গভঙ্গি, অভিনয়, আঙুল গননা কিংবা ভিন্ন কোনো উপায়ে খুব ভালো শিখতে পারে। তাই আপনার শিশুর জন্য সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি কোনটি তা জানুন ও শিক্ষায় কাজে লাগান।
২. শিক্ষা বিনিময়
শুধু পাঠ্যবইতেই শিশুকে সীমাবদ্ধ রাখবেন না। আপনার শিশু কোন কোন বিষয় শিখল তা তার কাছ থেকে বিস্তারিত জেনে নিন। এ বিষয়ে নিজের জ্ঞান থাকলে তাও তাকে জানান। এভাবে পারস্পরিক তথ্য বিনিময়ে আপনার সন্তান সহজেই শিক্ষালাভ করতে পারবে।
৩. ইউটিউবে শিখুন
ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব শুধু বিনোদনের বিষয় নয়। ইউটিউবে রয়েছে অসংখ্য শিক্ষামূলক ভিডিও। বহু মজার উপায়ে কঠিন সব সূত্র শিখতে চাইলে ইউটিউবে অনুসন্ধান করুন এবং আপনার সন্তানকে তা দেখান।
৪. নিজেও শিখুন
শুধু সন্তানকে শিক্ষা দিলেই হবে না, নিজেও শিখে নিন। সন্তানের সঙ্গে নিজে পড়াশোনা করুন। এতে সে দারুণ উৎসাহিত হবে।
৫. বিভিন্ন মাধ্যম একত্রিত করুন
আপনার সন্তানের শিক্ষার জন্য শুধু একটি বই যদি বারবার পড়তে হয় তাহলে তা একঘেয়ে হয়ে যাবে। তাই বিভিন্ন মাধ্যম থেকে তথ্য একত্রিত করুন।
৬. সঠিক স্থান বাছুন
শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন সব বিষয় শিশুর পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে। তাই পড়ার টেবিলটি এমন স্থানে বসান যেখানে রেডিও কিংবা টিভির মতো মনোযোগ নষ্ট করার উপাদান নেই।
৭. উৎসাহ ও প্রশংসা
উৎসাহ ও প্রশংসার পেলে শিশু পড়ুয়াদের পড়াশোনায় আগ্রহ বহুগুণ বেড়ে যায়। তাই সর্বদা তাদের উৎসাহ দিতে ভুলবেন না। সামান্য উন্নতিতেই প্রশংসা করুন।
৮. ছাড় দিন
পড়াশোনার জন্য যখন শিশু ব্যস্ত তখন অন্যান্য বিষয়গুলোতে ছাড় দিন। পরীক্ষা সারাবছর থাকবে না, এ বিষয়টি নিজে মানুন এবং তাকেও জানিয়ে দিন।
৯. সময় ভাগ করুন
কোনো রুটিন ছাড়া পড়াশোনা করলে তা সঠিকভাবে কাজে নাও লাগতে পারে। আবার শিশুদের সঠিকভাবে রুটিন মেনে চলা কঠিনও হতে পারে। তাই শিশুর জন্য পড়ার সময় ভাগ করে দেওয়া উচিত আপনারই।
১০. পুরো পরিবারকে সঙ্গে নিন
শিশুর পড়াশোনার সহায়তার জন্য পুরো পরিবারকেই এগিয়ে আসা উচিত। বাসার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পড়ার বিষয় টাঙ্গানো, ডিনার টেবিলে অংকের সূত্র লাগিয়ে দেওয়া ইত্যাদি তাকে পড়াশোনায় এগিয়ে নিতে পারবে।
১১. অগ্রগতি খেয়াল রাখুন
শিশুর পড়াশোনায় অগ্রগতি সব সময় খেয়াল রাখতে হবে। কোনো সময় সে অমনোযোগিতা বা অন্য কোনো কারণে পিছিয়ে গেলে পরবর্তীতে তা পূরণ করা কঠিন হবে।


শিশুর স্মৃতিশক্তি প্রখর হবে যেভাবে

Detail
সন্তানের মনে রাখার ক্ষমতা যদি ভালো হয়, তাহলে যেকোনো কিছু দ্রুত শিখতে ও মনে রাখতে পারবে। সন্তানের স্মৃতিশক্তি প্রখর করতে কী করতে পারেন, সে বিষয়ে কিছু পরামর্শ জেনে নিন। কোনো কিছু ভিজ্যুয়ালাইজ করানো
আপনার সন্তান যখনই কোনো কিছু ভাবছে বা শিখছে, তখন সে চোখের সামনের বিষয়টিকে কীভাবে দেখছে তা আঁকতে বলুন। তাহলে দেখবেন, সে যা পড়ছে, জানছে, সেটি সহজে ভুলবে না। এ ধরনের কিছু গেম পাওয়া যায়। অবসর সময়ে খেলতে দিতে পারেন সন্তানকে।
অন্যকে শেখানোর দক্ষতা তৈরি করা
সন্তানকে শিক্ষকের ভূমিকায় আর আপনি শিক্ষার্থী—এই খেলা তার সঙ্গে খেলুন। বলুন, আজ যা কিছু শিখেছে তা যেন আপনাকে শেখায়। এটি করলে খেলার ছলে সন্তান পড়া তো শিখবেই। ভুলেও যাবে না। স্মৃতিশক্তির প্রখরতা বাড়বে।
গল্প বলানো
সাধারণ বিষয়গুলো তাকে গল্পের মতো করে বলতে বলেন। যেমন ধরা যাক, আজ স্কুলে কী করেছে, বন্ধুরা কী করল, টিফিনে কী খেল, শিক্ষকেরা কী কী বললেন। এভাবে মনে করে বললে স্মৃতিশক্তি ভালো কাজ করবে।
শুনে লেখার অভ্যাস
শিশুকে একটি কবিতা শোনান আর বলুন, সেটা সঙ্গে সঙ্গে লিখে ফেলতে। এভাবে মনে করে লিখতে বা বলতে পারার মধ্য দিয়ে দক্ষতা তৈরি হবে।
সূত্র: ফেমিনা, উইকি হাউ

শুভ নববর্ষ '১৪২৪

Detail
'আজ মোরা উচ্ছ্বাসে বৈশাখ প্রাতে, আনন্দে উল্লাসে মেতেছিলাম একসাথে '' বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভা যাত্রার মাধ্যমে বর্ষবরণ , শুভ নববর্ষ '১৪২৪ । উদযাপনে --উপজেলা প্রশাসন, বদলগাছী, নওগাঁ

Mobile Court action execution

Detail

Mobile Court action executed by Hon'ble UNO Hossain Sawkat Sir at different places in Badalgachi

পরাধীনতার শিকল ভাঙার দিন এই ২৬ শে মার্চ

Detail

২৬ শে মার্চ আমাদের জাতির আত্মপরিচয় অর্জনের দিন। পরাধীনতার শিকল ভাঙার দিন। আসুন সকল ভেদাভেদ ভুলে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাই। সবাই মিলে একটি অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। প্রতিষ্ঠা করি জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’। আজকের এই ঐতিহাসিক দিনে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মহান মুক্তিযুদ্ধের চেনতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গত ৮ বছরে আমরা দেশের প্রতিটি সেক্টরে কাঙ্খিত অগ্রগতি অর্জন করেছি। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ‘রোল মডেল’। ২০২১ সালের আগেই আমরা বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করব, ইনশাআল্লাহ।
প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্রবিরোধীদের যেকোনো অপতৎপরতা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। এই অর্জনকে অর্থপূর্ণ করতে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে, স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করতে হবে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে পৌঁছে দিতে হবে। স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের মহানায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাঁর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে আমরা অর্জন করেছি প্রিয় স্বাধীনতা।
শেখ হাসিনা মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেশবাসী এবং প্রবাসী বাঙালিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আমরা সপরিবারে জাতির পিতা হত্যার বিচারের রায় কার্যকর করেছি। একাত্তরের মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হচ্ছে। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে আমাদের সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছে। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের সুযোগ বন্ধ করেছি। স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্রবিরোধীদের যে-কোনো অপতৎপরতা ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার জন্য আজকের এদিনে তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতি দীর্ঘ ২৩ বছর পাকিস্তানি শাসকদের নিপীড়ন এবং বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই করে। তারা বাধ্য হয় ১৯৭০ সালে দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের। নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে উল্টো নিবর্তনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রে বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারে সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। তিনি বাঙালি জাতিকে শত্রুর মোকাবিলা করার নির্দেশ দেন।
তিনি মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ এবং দুই লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘ যাঁদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে কাঙ্খিত বিজয়। তিনি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন জাতীয় চার নেতার প্রতি। সম্মান জানান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল মুক্তিযোদ্ধাকে। যারা স্বজন হারিয়েছেন, নির্যাতিত হয়েছেন তাদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং সকল বন্ধুরাষ্ট্র, সংগঠন ও ব্যক্তি, যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অকৃপণ সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। ঢাকাসহ দেশের শহরগুলোতে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এই ঘোষণা টেলিগ্রাম, টেলিপ্রিন্টার ও তৎকালীন ইপিআর-এর ওয়ারলেসের মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও এই ঘোষণা প্রচারিত হয়। জাতির পিতার নির্দেশে পরিচালিত ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়।
 সূত্র: বিডি প্রতিদিন/ মজুমদার

এডোব ইলাস্ট্রেটর ডাউনলোড করুন-১০.০

Detail
এডোবি ইলাস্ট্রেটরে যেকোনো ধরনের ভেক্টর গ্রাফিক্স বা ইমেজ তৈরির জন্য ইলাস্ট্রেটর একটি সেরা সফটওয়্যার। সুতরাং ভেক্টর গ্রাফিক্স তৈরি বা এডিট করবার যেকোনো ধরনের কাজ ইলাস্ট্রেটরে করা যেতে পারে। প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যবহারের জন্য যেকোনো ডিজাইন এবং টেক্সট তৈরির কাজ ইলাস্ট্রেটরে করা যায়। টেক্সট ও গ্রাফিক্সের সমন্বয়ে আকর্ষণীয় পোস্টার, লিফলেট, ব্রসিওর, বইয়ের কাভার প্রভৃতি তৈরি থেকে প্রিন্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কালার সেপারেশন করে লেসার বা ফিল্ম আউটপুট তৈরির পুরো প্রক্রিয়াটিও ইলাস্ট্রেটরে সম্পন্ন করে ফেলা যায়।
ইন্টারএ্যাকটিভ যেকোনো প্রেজেন্টেশন, ওয়েব পেজ, এপ্লিকেশন সফটওয়্যার গেম প্রভৃতির লোডিং পেজ, ইন্টারফেস ইত্যাদির আকর্ষণীয় গ্রাফিক্স সমৃদ্ধ লেআউট তৈরির কাজটি করা যায় ইলাস্ট্রেটরে। কার্টুন বা এনিমেশনে ব্যবহারের জন্য যেকোনো ধরনের ব্যাকগ্রাউন্ড, ক্যারেক্টার ড্রইংসহ সব ধরনের আঁকাআঁকির কাজে ইলাস্ট্রেটর পুরোপুরি স্বয়ংসমৃদ্ধ এবং কার্যকরী একটি সফটওয়্যার। যেকোনো ধরনের নকশা, কারুকাজ বা ম্যাপ এমনকি অনেকক্ষেত্রে আর্কিটেকচারাল ড্রইং করবার জন্যও ইলাস্ট্রেটর ব্যবহৃত হয়ে থাকে।  
ইলাস্ট্রেটরে টেক্সটকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করা থেকে শুরু করে টেক্সটের যেকোনো ধরনের এডিটিং ও কম্পোজিশনের কাজ করার সুবিধা রয়েছে। সুতরাং বিভিন্ন ধরনের, টাইটেল, কোম্পানি লোগো, ব্যানার, পণ্যের মোড়ক, স্টিকার প্রভৃতি ইলাস্ট্রেটর ব্যবহার করে মানসম্পন্নভাবে তৈরি করা যায়। যেকোনো ধরনের ইংরেজি বা বাংলা টাইপ ও ফরমেটের কাজটিও আপনি ইলাস্ট্রেটর ব্যবহার করে করতে পারেন।
এই প্রয়োজনীয় সফটওয়ারটির  ক্রাক ফাইল সহ ডাওনলোড লিংক দেয়া হলো। আগামীতে টিউটোরিয়াল দেয়া হবে ধাপে ধাপে।

সহজেই সেটআপ করুন ফটোসপে প্লাগ্নিস (Plug-Ins)

Detail
সমস্ত প্রশংসা সেই রাব্বুল আলামিন এর দরবারে যিনি বিশ্ব জাহানের মালিক।  প্রতিনিয়ত কম্পিউটারের ব্যবহার বাড়ছে।এর সাথে তৈরী হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়ার। তবে গ্রাফিক্সের জন্য ফটোসপের বিকল্প আর নেই। বর্তমানে এমনও ব্যক্তি আছেন যারা শুধু মাত্র ফটোশপ ছাড়া আর কিছুই জানেন না। তারা সর্বদা ফটোশপ নিয়ে থাকেন এবং
খুব ভালো কাজ জানে। তবে ফটোসপে কাজ করতে গেলে কিছু প্লাগ্নিস লাগে। যা কিনা আপনার কাজকে অনেক সহজ করে দিবে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারেন যে, প্লাগ্নিসটা কি?
প্লাগ্নিসটা: আসলে প্লাগ্নিসটা হচ্ছে আপনার ফটোশপের জন্য তৈরী করা কিছু ইফেক্ট। যা কিনা আপনার কাজকে আরো সহজ করে দিবে। অর্থা আপনার জন্য কিছু ইফেক্ট তৈরী করা আছে। যারা ফটোসপের কাজ জানেন বা নতুন শিখছেন তারা অন্তত এতটুকু বুঝতে পারেন যে, ছবিতে কোন সমস্যা হলে আপনারা ফটোসপের সাহায্যে তা ঠিক করেণ। ঠিক এই রকম কিছু কাজ আছে যা করতে অনেক সময় লাগে। ঠিক এই জাতীয় কাজ নির্দিষ্ট করে তৈরী করা আছে। আপনি শুধূ ক্লিক করবেন আর আপনার কাজ হয়ে যাবে।
কিন্তু এই প্লাগ্নিসটা অনেকেই ঠিক মত সেটআপ করতে পারেন না। এটা সেটআপ করার কিছু নিয়ম আছে। তাই আজকে আমি আপনাদের শিখাবো কিভাবে সেটআপ করতে হয় এবং এটির ব্যবহার। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। প্রথমে এই লিংক থেকে প্লাগ্নিস গুলো ডাউনলোড করুন। ডাউনলোড হলে আনজীপ করুন। তাহলে নিচের মত ছবিটি হবে।

এবার সবগুলো করি করুন।
তারপরে আপনি যেখানে ফটোসফ সেটআপ করেছেন সেই জায়গায় যান। অর্থাত সেটআপ ডাইরেক্টরী। সাধারনত এটি সি(C:\Program Files) ড্রাইভে প্রোগ্রামসে থাকে। ধরে নিলাম আপনি সি ড্রাইভে ফটোসফ সেটআপ করেছেন। তাই আপনাকে সরাসরি সেই ড্রাইভে যেতে হবে(C:\Program Files\Adobe\Adobe Photoshop CS3)। এই জন্য  প্রথমে মাই কম্পিউটারে গিয়ে সি(C) ড্রাইভ ওপেন করুন।
তারপরে প্রোগ্রাম ফাইলস (Program Files) ওপেন করুন
তারপরে এডোব (Adobe) ফোল্ডারটি ওপেন করুন।
এবার আপনি যদি ফটোশপ (সিএস, সিএস২, সিএস৩) অথবা যে ভার্সন আপনি সেটআপ করেছেন ঠিক সেই ফোল্ডারটি ওপেন করুন। আপনি ফটোশফ সিএস৩ ব্যবহার করি।
তাহলে নিচের মত ছবিটি দেখতে পাবেন। এবার এইখানে লক্ষ করুন যে Plug-Ins নামক একটি ফোল্ডার আছে। এই ফোল্ডারটি ওপেন করুন।
 এবার আপনার কপি করা প্লাগ্নিস গুলো এই  ফোল্ডারের ভিতরে পেষ্ট করুন। 
তারপরে ফোল্ডারটি বন্ধ করে আপনি আপনার ফটোসফ চালু করুন। চালু হবার পরে একটি ছবি ওপেন করুন। 
 এবার মেনুবার থেকে ফিল্টার তারপরে একদম নিচে গ্রেইন সার্জারি তে ক্লিক করে রিমুভ গ্রেইন। 
তারপরে ছবিটিতে লক্ষ করুন। একটি স্মুত ভাব তৈরী হয়েছে।
তবে সাবধান ভাবে করতে হবে কোন কোন ছবিতে এই ইফেক্ট এরমান কমিয়ে দিতে হবে। নিচের ছবিতে লক্ষ করুন লাল বর্ডার দেয়া।
১০০ এর নিচের হলে কমবে আর ১০০ উপরে বাড়বে। তবে ১০০ উপরে দেয়া ঠিক হবে না। আপনার আপনাদের নতুন নতুন ছবি নিয়ে চেষ্টা করুন বার বার ব্যবহার করুন তখন বুঝে যাবেন কিভাবে ব্যবহার করতে হবে।

2017

 
Support : | RSTSBD | RSTSBD
Copyright © 2017. রূপকল্প ২০৪১ - All Rights Reserved
This Blog Published by RSTSBD
Created by Uno Badalgachi