করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ঘরে থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। May 2018 - রূপকল্প ২০৪১

আসুন জেনে নেই কম্পিউটার স্লো হয়ে গেলে করনীয় কি?

Detail
অধিকাংশ কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের প্রথম ও প্রধান সমস্যা হলো তার কম্পিউটারটি স্লো কাজ করছে, এমন অবস্থায় করনীয় নিয়ে অনেক দ্বিধা থাকলে ও নিচের বিষয়গুলো খেয়াল করলে এমন সমস্যা হতে অতি সহজেই পরিত্রান পাওয়া সম্ভব।

নতুন কম্পিউটার কিনেছেন। কেনার প্রথমদিকে নতুন শ্বশুর বাড়ির মতোই কম্পিউটার আপনাকে খাতির যত্ন করবে। তারপর একসময় ধীরে ধীরে কম্পিউটারের গতি কমতে থাকে। দেখা গেলো, একটি ফোল্ডার ওপেন করার পর খুলতে এতোই সময় লাগে যে এই সময়ে আপনার একটা ভালো ঘুম হয়ে যায়। তবে কম্পিউটারের গতি বাড়ানো যায় বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে। চলুন জেনে নেই তেমন কিছু বিষয়-
১) কম্পিউটারে কখনো থিম, অ্যানিমেটেড ওয়ালপেপার, ইন্সটল করা উচিত নয়।থিম কম্পিউটারকে অনেক ধীর করে দেয়।
২) রিসাইকেল বিন সব সময় ফাঁকা রাখুন।  রিসাইকেল বিনে কোনও ফাইল রাখবেন না।
৩) Start থেকে Run-এ ক্লিক করে এক এক করে Prefetch, temp, %temp%, cookies, recent লিখে ok করুন। ফোল্ডারগুলো খুললে সবগুলো ডিলিট করে ফেলুন। কিছু সময় পরপর Start থেকে Run-এ ক্লিক করে tree লিখে ok করুন। এতে র‌্যামের কার্যক্ষমতা বাড়বে।

৪) My Computer খুলে সি ড্রাইভের ওপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Properties-এ যান। তারপর Disk Cleanup-এ ক্লিক করে কিছু সময় অপেক্ষা করুন। নতুন উইন্ডো এলে বাঁ পাশের সবগুলো বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে ok করুন। এভাবে প্রত্যেকটি ড্রাইভ ক্লিন করতে পারেন।
৫) ভাইরাসের কারণে পিসি স্লো হয়ে যেতে পারে। এজন্য নিয়মিত ভাইরাস স্ক্যান করুন। অ্যান্টি ভাইরাস ব্যবহার করতে পারেন। তবে ভুলেও এক পিসিতে একাধিক অ্যান্টি ভাইরাস ব্যবহার করবেন না।
৬) অতিরিক্ত ধুলা-বালির জন্য কম্পিউটার স্লো হয়ে যেতে পারে। এজন্য মাসে অন্তত একবার হলেও সিপিইউ খুলে এর ধুলাবালি পরিষ্কার করা উচিত।
৭) সি ড্রাইভের অপ্রয়োজনীয় ডাটা অন্য ড্রাইভে রাখুন।
৮) অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার পিসি থেকে আনইন্সটল করে ফেলতে পারেন। এর কারণেও অনেক সময় পিসি স্লো হতে পারে।
৯) আপনার কম্পিউটার এর ভার্চুয়াল মেমরি বাড়িয়ে রাখুন।
১০) ১ মাস পরপর আপনার ইন্টারনেট ব্রাউজিং হিস্টরি এবং কুকিস মুছে ফেলুন। তাতে আপনার ব্রাউজারের গতি বাড়বে।  একসাথে ব্রাউজারে বেশি ট্যাব খুলে রাখবেন না। যে ট্যাবটি দরকার শুধু সেটিই খুলুন। কাজ শেষ হলে পুরনোটা কেটে আবার নতুন একটি খুলুন। আর ব্রাউজারে অ্যাডস অন ব্যবহার করবেন না।
১১) মাস খানেক পর কম্পিউটার এর র‌্যাম খুলে পরিষ্কার করে আবার লাগান, তাতে মাঝে মাঝে রিস্টার্ট হওয়া কিংবা ডিসপ্লে না আসার সমস্যা কমবে।
১২) অটোমেটিক আপডেট এবং ফায়ারওয়াল অফ করে রাখুন।
১৩) যেসব প্রোগ্রাম কিংবা সফটওয়্যার ব্যবহার করবেন না, এগুলো একেবারে ক্লোজ করে রাখুন। কারণ ক্লোজ না করলে এই প্রোগ্রাম কিংবা সফটওয়্যারগুলো আপনার পিসির র‌্যামের জায়গা দখল করে আপনার পিসিকে স্লো করে রাখবে।
১৪) আপনার কম্পিউটার নিয়মিত বন্ধ করুন। অনেকেই আছে সবসময়ই খুলে রাখেন নিজেদের পিসি অথবা ল্যাপটপ যা করা একদমই উচিত নয়।
১৫) বড় সাইজের ফাইল কম্পিউটার থেকে সরিয়ে ফেলুন।
১৬) কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে ভালো কনফিগারেশনের কম্পিউটার কেনা।

সূত্রঃ আরটিভিঅনলাইন

এটিএম বুথে নকল টাকা

Detail
এটিএম বুথে নকল টাকা পাওয়া যেন খুবই একটা সাধারণ ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে, আর এই সাধারণ ঘটনার কথা যখন ব্যাংক কর্মকর্তাদের জানানো হয়, তখন তাদের আচরনে মনে হয় এইটা একটা বিরাট অসাধারণ ঘটনা যা কখনোই ঘটতে পারে না, যদিও তা ঘটে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ জেনে রাখা দরকার।
এটিএম-এ যদি নকল নোট হাতে আসে, তখন কি করা যায়? কেননা সেই মুহূর্তে কেউ এর সাক্ষী থাকে না। এটিএম-এ নকল নোট রুখতে বিভিন্ন ধাপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তাই নকল নোট না আসাই উচিত। তাও যদি আসে তবে বিপাকে পড়তে হয় গ্রাহককে। কেননা বিদেশে এটিএম রিসিপ্টে কারেন্সির নম্বর উল্লেখ থাকে, কিন্তু বাংলাদেশে শুধু কত টাকা তোলা হচ্ছে তার অ্যামাউন্টই উল্লেখ থাকে। এই পরিস্থিতিতে হাতে নকল নোট এলে একজন গ্রাহক কি করবেন?
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এরকম সন্দেহ হলে প্রথমেই নোটটি সিসিটিভি-র সামনে ধরা উচিত। যাতে স্পষ্ট বোঝা যায় যে নোটটি এটিএম-থেকেই পাওয়া গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে এটিএম-এ যে নিরাপত্তারক্ষী আছেন তার কাছে নোটের ডিটেলস দিয়ে অভিযোগ দায়ের করে রাখা শ্রেয়। এতে নোটটি এটিএম থেকে কোন সময়ে বেরিয়েছে, তা স্পষ্ট হবে। সেই সঙ্গে যে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট আছে সেখানেও সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ জানিয়ে রাখতে হবে। প্রয়োজন হলে রিজার্ভ ব্যাংকেও।

পাশাপাশি পুলিশের কাছেও অভিযোগ দায়ের করতে হবে। তদন্ত চলাকালীন এই সিসিটিভি ফুটেজই প্রমাণ করবে নোটটি এটিএম থেকে বেরিয়েছে। প্রমাণ দেবে নিরাপত্তারক্ষীর কাছে জমা হওয়া অভিযোগও। একই সঙ্গে ব্যাংকও জানাবে যে গ্রাহক, এই অসুবিধার কথা জানিয়েছেন,

এই প্রমাণগুলিই গ্রাহকের টাকা ফিরে পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। সাধারণ কোনও বড় অ্যামাউন্টের টাকার মধ্যে নকল নোট চলে এলে মাথায় হাত পড়ে গ্রাহকের। এ নিয়ে আতান্তরে পড়তে হয়। তাই সন্দেহ হলে আগাম সাবধানতা অবলম্বন করাই বাঞ্ছনীয়।
সূত্রঃ সময়নিউজ

ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার চত্বরে আন্তর্জাতিক বৈশাখ ডে উদযাপন অনুষ্ঠান

Detail
ঐতিহ্যমন্ডিত ঐতিহাসিক স্থান সোমপুর (পাহাড়পুর) বৌদ্ধ বিহার চত্বর আন্তর্জাতিক বৈশাখ ডে উদযাপন সদ্ধর্মসভা অষ্টপরিষ্কার সহ সংঘদান প্রব্রজ্যাদান ও দি বুড্ডিষ্ঠ ট্ররিজম এর উদ্বোধনী অনুষ্টান ১৮ মে শুক্রবার দিবসব্যাপী জ্ঞান সারথী অধ্যাপক জ্ঞানরত্ন মহাস্থবির বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সাংগঠনিক সম্পাদক এর সভাপতিত্বে অনুষ্টিত হয়। যথাক্রমে উদ্বোধক অধ্যাপক ডা: উত্তম কুমার বড়ুয়া পরিচালক, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঢাকা, প্রধান ধর্মদেশক চট্রগ্রাম পালি বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ড: জ্ঞানরত্ন মহাস্থবির ,, সদ্বর্মদেশক এল অনুরুদ্ধ মহাস্থবির , বোধিমিত্র থের প্রধান অতিথী জনাব মো: ছলিম উদ্দীন তরফদার এম পি (বদলগাছী মহাদেবপুর)।

 প্রধান বক্তা ড: এ কে আব্দুল মোমেন সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি,
 জাতিসংঘ বিশেষ অতিথী জনাব মো: মিজানুর রহমান জেলা প্রশাসক, নওগাঁ
 জনাব মো: ইকবাল হোসেন পুলিশ সুপার, নওগাঁ । 
জনাব মাসুম আলী বেগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বদলগাছী নওগাঁ 

ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে- স্বল্প মেয়াদী আইসিটি প্রশিক্ষণ গ্রহন করুন।

Detail
সম্প্রতি বাংলাদেশ ডিজিটাল সু-সরকার বদলগাছী উপজেলার প্রায় ৮১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ক্লাস গ্রহন এবং স্কুল পরিচালনার লক্ষ্যে ল্যাপটপ প্রদান করেছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, অধিকাংশ শিক্ষকগনই সে ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেট এর সঠিক ব্যবহার ও পরিচালনার জন্য তেমন কোন প্রশিক্ষন  পাননি। যার করণে সরকাররে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন ব্যহত হচ্ছে। তাই সম্মানিত শিক্ষকগনকে  অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানানো যাচ্ছে যে, 
 ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে-
বদলগাছী উপজেলা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্লাব - এর উদ্দ্যোগে

 ডিজিটাল ক্লাস কন্টেন্ট দ্বারা ক্লাস গ্রহণ সহজ এবং সাবলীল করতে ক্লাব - সময়  উপযোগী প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করার পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। আপনাদের সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত ও অংশগ্রহন প্রত্যাশা করছি। যার মাধ্যমে শুধু শিক্ষকগনই নন সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোও ডিজিটাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে আত্ম প্রকাশ করতে সক্ষম হবে।
 আর এতে করে ভিশন ২০২১ বাস্তাবয়নে  বদলগাছী উপজেলা সরাসরি ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।
আমাদের সেবা সমূহঃ
১। স্বল্প মেয়াদী এবং কার্যকরী ল্যাপটপ, ডেস্কটপ এবং অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং প্রশিক্ষণ প্রদান।
২। বিভিন্ন ধরনের হার্ডওয়ার, সফটওয়ার, অনলাইন, অফলাইন সমস্যা সমাধান এবং অনলাইন নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ প্রদান।
৩। নেটওয়ার্কিং, ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সহ প্রয়োজনীয় সকল অফিস প্রোগ্রাম প্রশিক্ষণ।
৪। প্রাক প্রাথমিক বিজয় ডিজিটাল কন্টেন্ট , লাইসেন্স সংস্করণ।
৫। প্রথম হতে পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত সকল ডিজিটাল কন্টেন্ট সরবরাহ ও তার ব্যবহার।
৬। গ্রাফিক্স ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং এবং প্রয়োজনীয় হার্ডকপি, সফট কপি প্রদান।
৭। নিজের এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইমেইল, ব্লগ, ওয়েবসাইট এবং ফোরাম পরিচালনা করা।
৮। দূরবর্তী শিক্ষকদের জন্য ইউনিয়ন ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান সুবিধা প্রদান করা হবে।

উপরে উল্ল্যেখিত সেবা গ্রহনে শিক্ষক সমাজ হয়ে উঠবে ডিজিটাল এবং দক্ষ। যারা দেশ ও জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে আরো অগ্রগামী ।

প্রয়োজনে যোগাযোগ করুনঃ
বদলগাছী উপজেলা আই.সি.টি প্রশিক্ষন কেন্দ্র
পশু হাসপাতার সংলগ্ন,
বদলগাছী, নওগাঁ।
০১৭৯৫-৬৩৫৮৭২ (তাইয়েব), ০১৭১৭-২২৯৬১৭ (শামীম)
                       ফেসবুক পেজঃ https://web.facebook.com/bubpc

মহাকাশে যাত্রার চূড়ান্ত ক্ষণে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১

Detail

 আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ২টা ১২ মিনিট থেকে ৪টা ২২ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হতে পারে।

প্রজেক্টরের মাধ্যমে সর্ব সাধরণকে এই ঐতিহাসিক ঘটনা দেখার সুযোগ করে দিতে বদলগাছী উপজেলা প্রশাসন প্রয়োজনিয়  পদক্ষেপ গ্রহন করেছে।


যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হবে। উৎক্ষেপণ সফল হলে বিশ্বের ৫৭ তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক হবে বাংলাদেশ। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সেবার সম্প্রসারণ করা সম্ভব হবে। দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ব্যবস্থাপনায় নতুন মাত্রা যোগ হবে। স্যাটেলাইটভিত্তিক টেলিভিশন সেবা ডিটিএইচ (ডিরেক্ট টু হোম) ও জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজেও এ স্যাটেলাইটকে কাজে লাগানো যাবে।
বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের মুহূর্তটি বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ দেশের সব কটি বেসরকারি টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করবে। দুর্লভ এ মুহূর্ত সরাসরি প্রচারের ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ দেশের সব জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সও উৎক্ষেপণ মুহূর্তটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।
কেনেডি স্পেস সেন্টারের দুটি স্থান থেকে আগ্রহী দর্শনার্থীরা এই উৎক্ষেপণ দেখতে পারবেন। একটি স্থান অ্যাপোলো সেন্টার, উৎক্ষেপণস্থল থেকে দূরত্ব ৬ দশমিক ২৭ কিলোমিটার। উৎক্ষেপণের দৃশ্য কেনেডি স্পেস সেন্টারের মূল দর্শনার্থী ভবন (মেইন ভিসিটর কমপ্লেক্স) থেকেও দেখা যাবে। উৎক্ষেপণ স্থল থেকে এটির দূরত্ব ১২ কিলোমিটার। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের এ মুহূর্তের সাক্ষী হতে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্ব একটি প্রতিনিধিদল কেনেডি স্পেস সেন্টারে উপস্থিত থাকবে।
মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের অবস্থান হবে ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। এই কক্ষপথ থেকে বাংলাদেশ ছাড়াও সার্কভুক্ত সব দেশ, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, মিয়ানমার, তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও কাজাখস্তানের কিছু অংশ এই স্যাটেলাইটের আওতায় আসবে।
দেশের প্রথম এ স্যাটেলাইট তৈরিতে খরচ ধরা হয় ২ হাজার ৯৬৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকার ও বাকি ১ হাজার ৬৫২ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। এ ঋণ দিয়েছে বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসি। তবে শেষ পর্যন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ হয়েছে ২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা।
স্যাটেলাইট তৈরির এই পুরো কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়িত হয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তত্ত্বাবধানে। তিনটি ধাপে এই কাজ হয়েছে। এগুলো হলো স্যাটেলাইটের মূল কাঠামো তৈরি, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ ও ভূমি থেকে নিয়ন্ত্রণের জন্য গ্রাউন্ড স্টেশন তৈরি।
বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মূল অবকাঠামো তৈরি করেছে ফ্রান্সের মহাকাশ সংস্থা থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস। স্যাটেলাইট তৈরির কাজ শেষে গত ৩০ মার্চ এটি উৎক্ষেপণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় পাঠানো হয়। সেখানে আরেক মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্সের ‘ফ্যালকন-৯’ রকেটে করে স্যাটেলাইটটি আজ মহাকাশে যেতে পারে। স্যাটেলাইট তৈরি এবং ওড়ানোর কাজটি বিদেশে হলেও এটি নিয়ন্ত্রণ করা হবে বাংলাদেশ থেকেই। এ জন্য গাজীপুরের জয়দেবপুরে তৈরি গ্রাউন্ড কনট্রোল স্টেশন (ভূমি থেকে নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা) স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রণের মূল কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে। আর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হবে রাঙামাটির বেতবুনিয়া গ্রাউন্ড স্টেশন।

শুরুর ইতিহাস
বাংলাদেশে প্রথম স্যাটেলাইট নিয়ে কাজ শুরু হয় ২০০৭ সালে। সে সময় মহাকাশের ১০২ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে কক্ষপথ বরাদ্দ চেয়ে জাতিসংঘের অধীন সংস্থা আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নে (আইটিইউ) আবেদন করে বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশের ওই আবেদনের ওপর ২০টি দেশ আপত্তি জানায়। এই আপত্তির বিষয়টি এখনো সমাধান হয়নি। এরপর ২০১৩ সালে রাশিয়ার ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের বর্তমান কক্ষপথটি কেনা হয়। বাংলাদেশ বারবার আইটিইউর কাউন্সিল সদস্য নির্বাচিত হয়ে নীতিনির্ধারক পর্যায়ে থাকলেও এখন পর্যন্ত নিজস্ব কক্ষপথ আনতে পারেনি।
জাতিসংঘের মহাকাশবিষয়ক সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর আউটার স্পেস অ্যাফেয়ার্সের (ইউএনওওএসএ) হিসাবে, ২০১৭ সাল পর্যন্ত মহাকাশে স্যাটেলাইটের সংখ্যা ৪ হাজার ৬৩৫। প্রতিবছরই স্যাটেলাইটের এ সংখ্যা ৮ থেকে ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। এসব স্যাটেলাইটের কাজের ধরনও একেক রকমের। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটটি বিভিন্ন ধরনের মহাকাশ যোগাযোগের কাজে ব্যবহার করা হবে। এ ধরনের স্যাটেলাইটকে বলা হয় ‘জিওস্টেশনারি কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট’। পৃথিবীর ঘূর্ণনের সঙ্গে সঙ্গে এ স্যাটেলাইট মহাকাশে ঘুরতে থাকে।
দেশের প্রথম ন্যানো স্যাটেলাইট ব্র্যাক অন্বেষা প্রকল্পের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমাদের ছেলে-মেয়েরা এখন নিজেরাই স্যাটেলাইট বানানোর দক্ষতা অর্জন করেছে। সরকারের সহযোগিতা পেলে ২০২১ সালের মধ্যে দেশেই নিজস্ব যোগাযোগ স্যাটেলাইট তৈরি করা সম্ভব। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট তৈরি না হলে এসবের কিছুই হতো না।’
বর্তমানে দেশে প্রায় ৩০টি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচারে আছে। এসব চ্যানেল সিঙ্গাপুরসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে স্যাটেলাইট ভাড়া নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। সব মিলিয়ে স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ বছরে চ্যানেলগুলোর খরচ হয় ২০ লাখ ডলার বা প্রায় ১৭ কোটি টাকা। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট চালু হলে এই স্যাটেলাইট ভাড়ার অর্থ দেশেই থেকে যাবে। আবার স্যাটেলাইটের ট্রান্সপন্ডার বা সক্ষমতা অন্য দেশের কাছে ভাড়া দিয়েও বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার সুযোগ থাকবে। এই স্যাটেলাইটের ৪০টি ট্রান্সপন্ডারের মধ্যে ২০টি ভাড়া দেওয়ার জন্য রাখা হবে।
মহাকাশে যে কক্ষপথে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট স্থাপন করা হবে, তা দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর জন্য ব্যবহার করা কঠিন হবে বলে মনে করেন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশের যেখানে স্থাপন করা হবে, তা দিয়ে কাজ করা বাংলাদেশের টেলিভিশনগুলোর জন্য হবে একটি চ্যালেঞ্জ। টেলিভিশন চ্যানেলগুলো যাতে এ স্যাটেলাইটের সুবিধা পায়, সে জন্য যা দরকার তা করতে হবে।
এ বিষয়ে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার আগে প্রথম আলোকে বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ব্যবহারে দেশীয় চ্যানেলগুলোর কোনো সমস্যা হলে তা সমাধান করা হবে। বিটিআরসি নতুন প্রযুক্তির প্রতি খুবই উদার। এ বিষয়ে ব্যবহারকারীদের যেকোনো প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে। তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া ঠিক থাকলে স্যাটেলাইটটি আজ রাতের নির্ধারিত সময়েই উৎক্ষেপণ হবে।
সূত্র: প্রথম আলো

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কি এবং কেন?

Detail

অনেকের মনে যে প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক সেটা হল, স্যাটেলাইট কি? আর এটা দিয়ে কি হয়? এটা সাধারণ মানুষের কতটুকু কাজে লাগবে?
খুব সহজ ভাবে বললে, মানুষের তৈরি উপগ্রহকে কৃত্রিম উপগ্রহ বা স্যাটেলাইট বলে। বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট আগামী ৭ মে উৎক্ষেপণ হবে। কয়েক বছর আগেও যে জিনিস নিয়ে আমরা স্বপ্ন দেখতাম তা এখন সত্যি হতে চলেছে। হ্যাঁ, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর কথাই বলছি।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট তৈরি করেছে ফ্রান্সের কোম্পানি। এরপর পাঠানো হয়েছে ইউএস এর ফ্লোরিডাতে। যুক্তরাষ্ট্রের রকেট নির্মাতা সংস্থা স্পেসএক্সের ফ্যালকন-৯ রকেটে করে স্যাটেলাইটটি মহাকাশে পাঠানো হবে। এটির গ্রাউন্ড স্টেশন গাজীপুর। সব কাজ শেষ। এখন কেবল উৎক্ষেপণের অপেক্ষা।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট থেকে সুবিধা পাওয়া যাবে:
* নিজস্ব স্যাটেলাইট তাই মহাকাশ সম্পর্কে বেশি জ্ঞান লাভ করা সম্ভব হবে। মহাকাশ গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
* বাণিজ্যিক ভাবে বেশি লাভ হবে। এই স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার রয়েছে। যার মধ্যে ২০টি দেশের কাজে ব্যবহৃত হবে আর ২০টি ভাড়া দেওয়া হবে। স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলে প্রচুর পরিমান টাকা বাইরের দেশে চলে যায়, যার পরিমান ২ লাখ ডলার। আমরা বর্তমানে সিঙ্গাপুরের স্যাটেলাইট ব্যবহার করি। আমরা এই স্যাটেলাইট ভাড়া দি্লে ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করা সম্ভব হবে। এতে করে দেশের টাকা দেশে থাকবে আবার বাইরের দেশ থেকেও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।
* আবহাওয়া সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানা যাবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করা যাবে।
* মিলিটারিদের জন্য খুব সুবিধা হবে। কারণ তারা স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করে। স্যাটেলাইট ফোন হল যে ফোনো ট্রেস করা যায় না। এটি কোনো তারের মাধ্যমে চলে না।
* সমুদ্র, বন নিয়ে রিসার্চ করা যাবে অনায়াসে।
* ইন্টারনেট সহজলভ্য হবে। এটি আরো অনেক স্মুথ হয়ে আসবে। কমিউনিকেশন ডেভেলপ না করতে পারলে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব হবে না।

May 2018

 
Support : | RSTSBD | RSTSBD
Copyright © 2017. রূপকল্প ২০৪১ - All Rights Reserved
This Blog Published by RSTSBD
Created by Uno Badalgachi